ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ থেকে চলে যেতে শুরু করেছেন হাজার হাজার মুসল্লিরা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার পর থেকে মুসুল্লিরা নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিতে শুরু করেন।
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনা শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এড়াতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খানের স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকায় জনসাধারণের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ফলে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একত্রে ঘোরাফেরা, জমায়েত এবং কোনো মিছিল বা সমাবেশ করা যাবে না।
এদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীও একই ধরনের আদেশ জারি করেন। তিনি বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
ঘটনার পর ইজতেমা ময়দান থেকে হাজার হাজার মুসল্লিরা মাঠ ছাড়তে শুরু করেছেন। বুধবার দুপুর ২টার পর থেকে মুসল্লিরা নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হতে শুরু করেন।
ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জলকামান ও রায়ট কারও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আশিকুর রহমান