ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১

চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যারিস্টার ফুয়াদ যে পরামর্শ দিলেন

প্রকাশিত: ১৫:২২, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যারিস্টার ফুয়াদ যে পরামর্শ দিলেন

ছবি: সংগৃহীত

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের চাঁদাবাজির কয়েকটা গোড়ার জায়গা আছে। এই গোড়ার জায়গাগুলোকে আপনারা কর্পোরেট মডেলে ডেভেলপ করে ফেলেন। তার মধ্যে একটা হচ্ছে টেম্পুস্ট্যান্ড, ট্রাকস্ট্যান্ড, বাসস্ট্যান্ড। এই স্ট্যান্ডগুলো পলিটিক্যাল পার্টির চাঁদাবাজির জায়গা।’

তিনি বলেন, ‘এই চাঁদাবাজিটা রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় পুলিশ মিলে স্থানীয় পুলিশ মিলে চাদাবাজিটা করে। কিন্তু এটাকে যদি আপনারা একটা কর্পোরেট মডেলে ডেভেলপ করতে পারেন তখন দেখবেন যে, এই চাদাবাজিটা হবে না। কি মডেলে যাওয়া যায় ১০টা মডেল আপনি স্টাডি করেন, ১০টা মডেল স্টাডি করে যারা ট্রন্সপোর্ট বিশেষজ্ঞরা আছেন বাংলাদেশে। তারাও বলতে পারবে একটা টেম্পুস্ট্যান্ড আপনি কী ফরম্যাটে এটাকে অপারেট করবেন।’ 

ফুয়াদ বলেন, ‘দ্বিতীয় চাঁদাবাজির একটা জায়গা হচ্ছে হকার এবং স্ট্রিট ফেরিওয়ালা, স্ট্রিটভেন্ডর যারা আছে। ঢাকা শহর থেকে শুরু করে সারা বাংলাদেশের ফুটপাতে অবৈধভাবে বিভিন্ন ভাই ব্রাদাররা তার ল্যাসপেন্সার দিয়ে দোকান বসায়। ওর কাছ থেকে দিনে ৫০ টাকা ১০০ টাকা ২০০টাকা নেয়। সরকার যেটা করতে পারে লোকাল সিটি কর্পোরেশন অথবা পৌর এলাকা যেটা আছে তারা কিন্তু অফিশিয়ালি স্ট্রিট মার্কেট ডেভেলপ করতে পারে। সারা দুনিয়াতে এমন স্ট্রিট মার্কেট আছে। আপনি বোস্টনে যান, লন্ডনে যান, নিউইয়র্কে যান পৃথিবীর সব দেশে, সব ইউরোপিয়ান দেশে আছে। হাটার পথ, ফুটপাত খালি থাকবে। কিছু কিছু এলাকাতে আপনি স্ট্রিট মার্কেট করে দেন। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ওই দোকানদারকে রাস্তায় বরাদ্দ দেন। একদম চক দিয়ে একে তাদের দোকান নাম্বার দিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি মাসে কতটাকা ভাড়া দিবে সেটাও স্পষ্ট করে দেয়া। এতে করে সিটি কর্পোরেশনের একটা আয়ের পথ হবে এবং চাঁবাজিটাও দূর হবে।, 

তিনি আর বলেন, ‘কৃষি পণ্যকে ডিজিটালাইজ করা দরকার। যেটা করা দরকার আমাদের কৃষি কর্মকর্তার উপর ভিত্তি করে আমাদের কৃষি যে উপজেলা অফিস আছে এই উপজেলা অফিসে রেকর্ড থাকতে হবে যে কোন ইউনিয়নে কত কেজি আলু উৎপাদন হয়েছে, কোন তারিখে কত কেজি মাল লোড হয়ে কারওয়ান বাজারে গিয়েছে এবং সেটা কত টাকায় বিক্রি হয়েছে এইটা যদি ডিজিটালাইজ করা যায় ট্রাকের নাম্বার দিয়ে, ড্রাইভারের ছবি দিয়ে, কোন কোন কৃষক পণ্য বিক্রি করেছে এই ফরম্যাটে গেলে স্বচ্ছতা অনেক বেড়ে যাবে। তখন কারওয়ান বাজারে এসে যখন কয়েক গুন বেড়ে যাবে তখন কাস্টমাররা জানবে জিনিসটা কোন জায়গা থেকে এসেছে, এটার দাম কত। তখন সে বেশি দাম দিয়ে এটা কনিবে না। আবার সরকার ট্রেন স্টেশনগুলোর পাশে কোল্ড স্টোরেজ করে দিতে পারে। যেকানে ওই জেলার সব মাল একত্রিত করা হবে।’

এর বাইরে তিনি পুলিশের বেতন বাড়াতে সুপারিশ করেন।

শিহাব

×