ছবি: সংগৃহীত
মেট্রোরেলের ২ লাখ টিকিট জমা না দিয়ে নিয়ে গেছে যাত্রীরা। এসব খোয়া যাওয়া টিকিট ফিরে পাওয়ার আশায় স্টেশনে স্টেশনে বাক্স বসানো হয়েছে। তবে মিলছে না পর্যাপ্ত সাড়া। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, প্রচার বাড়লে খোয়া যাওয়া টিকিটের একটি বড় অংশ ফেরত আসবে।
মেট্রোরেলে দুই ধরনের টিকিট আছে। এমআরটি পাস কিনে শুধু রিচার্জ করে যাত্রীরা ট্রেনে চড়তে পারেন। যতক্ষণ কার্ডে টাকা থাকে ততক্ষণ ট্রেনে চড়া যায়। সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা রিচার্জের সুযোগ আছে। এভাবে কার্ড করে চলাচলে ১০ শতাংশ ছাড়ও মেলে। এই কার্ড পাঞ্চ করে স্টেশন থেকে বের হতে হয়। পাঞ্চ মেশিনেই ভাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়া হয়।
অপর পদ্ধতি হচ্ছে, একক যাত্রার টিকিট কেটে গন্তব্যে যাওয়া যায়। এই একক যাত্রার টিকিট মেশিনে ঢুকিয়ে বের হতে হয়। এ টিকিট মেশিনে দিলেই শুধু স্টেশন থেকে বের হওয়ার সুযোগ থাকে। তবে একজন টিকিট দেওয়ার পর তার সঙ্গে বের হয়ে যাওয়া যায়, এমন সুযোগই নিয়ে থাকেন টিকিট নিয়ে বের হতে চাওয়া যাত্রীরা।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে একক যাত্রার দুই লাখ টিকিট যাত্রীরা নিয়ে গেছে বলে জানান ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানান। সেদিন একক যাত্রার মোট টিকিটের সংখ্যা ২ লাখ ৪৮ হাজার জানান। পরে একক যাত্রার টিকিট ৩ লাখ ১৩ হাজারটি ছিল বলে জানানো হয়। এই টিকিটের মধ্যে ১৩ হাজার নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে এখন অবশিষ্ট আছে মাত্র এক লাখ টিকিট।
তিন ভাগের এক ভাগ টিকিট অবশিষ্ট থাকায় যাত্রীরা একক যাত্রার টিকিট কিনতে গিয়ে ঝামেলায় পড়ছেন।
যাত্রীর ভিড় বেশি হলে প্রায়ই তাদের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এই অবস্থায় ডিএমটিসিএল ২০ হাজার টিকিট জাপানের সনি কম্পানি থেকে আনিয়েছে। তবে তা সংকট মেটানোর জন্য যথেষ্ট না। প্রতিটি টিকিটের পেছনে খরচ গেছে দেড় শ টাকা।
নিয়ম অনুযায়ী, নিয়ে যাওয়া টিকিট জমা দিলে জরিমানার বিধান থাকলেও যারা বক্সে টিকেট দিয়ে যাচ্ছে, তাদের কোনো ধরনের জরিমানা করা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানান, মেট্রো রেলের ১৬টি স্টেশনে দুটি করে মোট ৩২টি বাক্স বসিয়েছেন তারা। এখন পর্যন্ত দুইশর কাছাকাছি টিকিট পাওয়া গেছে।
যাত্রীদের মধ্যে যারা টিকিট ফেরত দিচ্ছে, তাদের মধ্যে কাউকে কাউকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করতেও দেখা যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের মতো যাত্রীরাও টিকিট ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেট্রো রেল বিষয়ক গ্রুপে পোস্ট করছে।
এসআর