চালুর পরই জনপ্রিয় হয়ে উঠে মেট্রোরেল। যানজটের রাজধানীতে স্বস্তির নাম মেট্রোরেল। বর্তমানে একক যাত্রার টিকেট পেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে ভোগান্তিতে পড়ছেন কর্মজীবীরা।
যাত্রীরা বলছেন, সরকারের কাছে দ্রুত আবেদন, এই সংকট যেন দ্রুত কাটানো হয়।
ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেল যখন চালু হয় তখন স্টেশনগুলোতে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪১টি একক যাত্রার কার্ড দেয়া হয়েছিল। এক বছর ৯ মাস পর গত অক্টোবর মাসে জানানো হয় ২ লাখের বেশি একক যাত্রার কার্ড হারিয়ে গেছে।
কারণ হিসেবে বলা হয়, যাত্রীরা অনেক কার্ড সঙ্গে নিয়ে গেছেন, আবার কিছু কার্ড নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তখন প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে যাওয়া কার্ডগুলো যাত্রীদের ফেরত দেয়ার অনুরোধ জানায়। এজন্য মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে একটি করে বক্সও দেয়া হয়েছিল।
সব মিলিয়ে অক্টোবর মাসে কার্ডের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০ হাজার। যদিও তখন গড়ে প্রতিদিন এক লাখের বেশি যাত্রী মেট্রোরেলে ভ্রমণ করছিলেন। ফলে কার্ড সংকট আরও দৃশ্যমান হয়। পরে সংকট মোকাবিলায় ডিএমটিসিএল নতুন করে একক যাত্রার কার্ড সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। নতুন উদ্যোগে ৪ লাখ নতুন কার্ড অর্ডার করা হয় জাপানে। এর মধ্যে প্রথম ২০ হাজার কার্ড গত নভেম্বর মাসে দেশে আসে।
এমআরটি লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া জানান, সকালে বেশিরভাগ যাত্রী মতিঝিল-সচিবালয় যান। ফলে টিকিটগুলো সব ওইদিকে চলে যাচ্ছে। উত্তরার এ পাশ থেকে যদি ২০০ লোক যায়, তবে ফিরে আসে ১০০ লোক। এতে করে একক যাত্রার ভারসাম্য হয় না। সকালে একদিকে যাত্রীর চাপ বেশি থাকে আর ফিরে আসে কম, তাই বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত টিকিট নিয়ে টানাটানি থাকে।
পরিচালক বলেন, এটা মাসের শেষের দিকে হাতে পাওয়া যাবে। এরপর আবার ২৮ ডিসেম্বর আরও ৩০ হাজার টিকিট আসার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এতে করে সামনের মাসের মধ্যে সংকট কেটে যাবে।
এসআর