বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে ভুয়া খবরও ছড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, আবার সেগুলিই স্থান পাচ্ছে ভারতের নানা খবরের কাগজ-টিভিতে। সাম্প্রতিক একটি উদাহরণ হলো মেঘালয় সীমান্তে বাংলাদেশের ড্রোন মোতায়েনের ভুয়া দাবি। অথচ বিষয়টি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রেস উইং ফ্যাক্টরস এক কথায় উড়িয়ে দিয়েছে বিষয়টি।
ভারতীয় সাপ্তাহিক পত্রিকা ইন্ডিয়া টুডে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাতে দাবি করা হয়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মেঘালয় সীমান্তে ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে।
এই ড্রোনগুলো ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্গন করেছে বলেও বলা হয় প্রতিবেদনে।
ঘটনাটি দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে নতুন উত্তেজনার জন্ম দেয়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক।
চিফ অ্যাডভাইজার প্রেস উইং ফ্যাক্টরস তাদের ভেরিফােইড ফেসবুক থেকে পোস্ট দিয়ে দাবি করেছে, এটি একটি বানোয়াট খবর। সীমান্ত এলাকায় এমন কোনো ড্রোন মোতায়েন করা হয়নি। এটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ। কেন এই ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে, এর পিছনে থাকতে পারে কয়েকটি উদ্দেশ্য।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য: বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে বিদেশি প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা। ভারতের কিছু মহল হয়তো চায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে নিজেদের সামরিক ও কূটনৈতিক প্রভাব বাড়াতে।
গণমাধ্যমের ব্যবসায়িক কৌশল: ড্রোন আক্রমণ, সীমান্ত লঙ্গন এমন শব্দ ব্যবহার করলে পাঠকের আগ্রহ এমনিতেই বাড়বে।
প্রতিবেশীকে দুর্বল দেখানো: বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করছে। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া ভারত বাংলাদেশের সফলতা দেখতে পাচ্ছে না।
বাংলাদেশের তেজগাঁও বিমান ঘাঁটি থেকে একটি টিভিটো ড্রোন উড়ানোর অভিযোগও উঠে। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিয়মিত কার্যক্রম ছাড়া কোনো ড্রোন মোতায়েন হয়নি।
নাহিদা