ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে এখন পর্যটকদের ঢল। সৈকতের প্রতিটি কোণে যেন উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। চারদিকে শুধু পর্যটক আর পর্যটক,যেন পা রাখার জায়গা নেই।
মহান বিজয় দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে টানা চার দিনের বিরতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে এসেছেন কক্সবাজারে।
সৈকত শহর পরিণত হয়েছে পর্যটকদের মিলনমেলায়। সাগর পাড়ের হোটেল-মোটেলগুলোতে রুম পাওয়া কার্যত অসম্ভব। এ অবস্থায় পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
দেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়া, নতুন বছরের শুরুতে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনের প্রস্তুতি এবং শীতের আবহ মিলিয়ে পর্যটকদের কাছে কক্সবাজার এখন প্রধান গন্তব্য। প্রকৃতির এই মায়াবী পরিবেশে মনকে হালকা করতে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই ছুটে এসেছেন সৈকতের শহরে।
কেউ বিচ বাইক, ওয়াটার বাইক বা ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র উপভোগ করছেন, আবার কেউ নোনা জলে গোসল করে মনের ক্লান্তি দূর করছেন। প্রিয়জনদের সঙ্গে এসব মুহূর্ত বন্দি করছেন ক্যামেরা ও মোবাইলে।
পর্যটকদের উপস্থিতিতে জমে উঠেছে স্থানীয় ব্যবসাও। বিচে কিটকট চেয়ার, বিচ বাইক, ক্ষুদ্র ব্যবসা সবকিছুতেই যেন চাঙাভাব। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, পর্যটকের ঢল তাদের জন্য বিরাট সুযোগ তৈরি করেছে।
তবে ব্যাপক পর্যটকের কারণে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের কোনো রুম খালি নেই। রুম না পেয়ে অনেককে ব্যাগপত্র হাতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এই ছুটির মৌসুমে শত কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হবে।
হোটেল মালিক সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় যেন না হয় এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা সক্রিয় রয়েছেন।
কয়েক লাখ পর্যটকের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সমুদ্রে নিরাপদে গোসল, চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধসহ সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম বলেন, "দীর্ঘ ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বেশি থাকায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছি।"
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রশাসন আশা করছে, দেশ-বিদেশের পর্যটকরা যেন নির্বিঘ্নে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারেন।
নাহিদা