ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাবার পর থেকে তার দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বেশিরভাগই লাপাত্তা হয়ে আছেন। বিশেষ করে গেলো ১৬ বছর ধরে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে থাকা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কোনো হদিসই পাওয়া যাচ্ছিলো না। তার অবস্থান নিয়েও ছিলো ধোঁয়াশা।
অবশেষে, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তিন মাস দেশে লুকিয়ে ছিলেন। তবে সরকার সে বিষয়ে অবগত ছিলো না। জানা থাকলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতো।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকা বিভাগীয় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। একটি স্থানীয় গণমাধ্যমে, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ওবায়দুল কাদের দেশেই আত্মগোপনে ছিলেন মর্মে খবর প্রকাশিত হয় মঙ্গলবার। সেই সূত্রেই প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদি সরকার তার লোকেশন জানতো, সাথে সাথেই তিনি অ্যারেস্ট হয়ে যেতেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর বলেন, উনি কোথা থেকে জানলেন যে (ওবায়দুলকাদের) তিন মাস বাংলাদেশে লুকায়ে ছিলো। আমরা তো জানি না। আমরা যদি জানতাম, অবশ্যই ধরে ফেলতাম। যদি আগে এই খবরটা ওনারা দিতে পারত উনি ওই জায়গায় লুকিয়ে আছে, আমরা অবশ্যই ধরে ফেলতাম। আপনারা বলেন, আপনারা একটা খবর দিয়েছেন- কেউ ওই জায়গায় লুকায়ে আছে, আমরা ধরি নাই- এমন একটা এক্সাম্পল দেন।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের মনোবল বেড়েছে, তবে পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু করতে কিছুটা সময় লাগবে। যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ তাদের অপরাধী হিসেবেই গণ্য করবে এবং পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আবারও তাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সহায়তা চেয়েছি।
তাবিব