সেমিনার
বাংলাদেশের নারীদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিতে সামাজিক সচেতনতার আহ্বান এসেছে মঙ্গলবার জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপির এক আলোচনা থেকে।
ঢাকার চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ইউএনডিপি বাংলাদেশের ‘কমবেটিং সাইবার ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন’ প্রকল্পের সমাপনী হিসেবে কোরিয়া সরকারের সহজোগিতায় সিউল পলিসি সেন্টারের সাথে যৌথভাবে সংলাপটি আয়োজন করা হয়।
সংলাপ সরকারী প্রতিনিধি, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ, যুব নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়গুলো আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক সাইবার সহিংসতা মোকাবেলায় কোরিয়া সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, "কোরিয়ান সরকার সাইবার সহিংসতা মোকাবেলা করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং এই প্রকল্পটি এই ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ মোকাবেলায় গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ইয়ং তিনি নিরাপদ ডিজিটাল স্পেস তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ইউএনডিপি বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সোনালি দয়ারত্নে প্রকল্পের প্রাক্টিক্যাল কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন বলেন, “সাইবার সহিংসতার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ- নারী ও যুবকদের সরাসরি জড়িত করার জন্য এবং নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য প্রকল্পটি অবদান রেখেছে।
প্রকল্পের মাধ্যমে ত্রিশ লক্ষের বেশি মানুষকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে সচেতন করা হয়। স্টেকহোল্ডাররা অনলাইন স্পেসগুলিতে মহিলা এবং মেয়েদের সুরক্ষার জন্য টেকসই অংশীদারিত্ব, নীতি সংস্কার এবং সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
ইভেন্টটি ইউএনডিপি বাংলাদেশের র্তয়জ সাইবারলেন্স চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে শেষ হয়, যেখানে সাইবার সহিংসতার উপর নির্মিত শর্ট ফিল্ম প্রদর্শন করা হয়।
শহীদ