ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২ পৌষ ১৪৩১

পূর্ব তিমুর-বাংলাদেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা

প্রকাশিত: ০০:৫৮, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

পূর্ব তিমুর-বাংলাদেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে গতকাল তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোর্তা। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ পূর্ব তিমুরের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন এক মাত্রা পেতে চলেছে। গত রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি চুক্তি এবং ফরেন অফিস কনসাল্টেশন-সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।

 

এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানিতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি। গত শনিবার (১৪ ডিসেম্বর)  ঢাকায় এসেছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোর্তা। রবিবার তিনি সাক্ষাৎ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে। এ সাক্ষাতের সময় দুদেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে।

বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে পূর্ব তিমুরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট হোর্তা। তার দেশে বাংলাদেশিদের বিনিয়োগেরও আহ্বান জানিয়েছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বরেণ্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, এমন একজন নিরহঙ্কার ও বিনয়ী মানুষ দেশের নেতৃত্বে রয়েছেন। তিনি তরুণদের সঙ্গে মিলে কাজ করছেন দেশের পরিবর্তনের জন্য। ড. ইউনূসকে নিজের ভাই, বন্ধু ও পরামর্শদাতা বলে উল্লেখ করেছেন প্রেসিডেন্ট হোর্তা।

পূর্ব তিমুরের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। এমন অবস্থায় পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আরও উন্নত করা দুদেশের জন্যই মঙ্গলজনক। পূর্ব তিমুর আরও পণ্য আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ থেকে। 

তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের তাঁর দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে রামোস-হোর্তা বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা বাংলাদেশ থেকে আরো পণ্য আমদানি করতে পারি এবং বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে তিমুর-লেস্তে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাই।

 

তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ তার দেশের উন্নয়নে অংশীদার হবে। তিনি বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত নেতা, যিনি এখনো সক্রিয়ভাবে অফিসে কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে নেলসন ম্যান্ডেলা, জন এফ কেনেডি, মহাত্মা গান্ধী, ফিদেল কাস্ত্রো এবং চে গুয়েভারার মতো বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে তুলনা করেন।

তাবিব

×