বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, চেঙ্গিস খানেরা মিসর সভ্যতাকে ধংস করার জন্য মিশরকে জ্বালিয়েছিল। ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধুর যাদুঘর পোড়া সবচেয়ে বড় অন্যায় হয়েছে। যারা আজকে সরকারে আছে এবং আন্দোলনে সফল হয়েছে তারা এর সঙ্গে নাই তাদের বলা উচিৎ ছিল এবং দুঃখ প্রকাশ করা উচিৎ ছিল।
সোমবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা প্রায় সব সময় ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করি এবং করি। যখন যে ক্ষমতাবান থাকে সে ইতিহাসের মহানায়ক সাজতে চায়। কিন্তু সেটা সত্য নয়। অতীতকে ভুলে গেলে বর্তমান যেমন নিপতিত হবে, ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আমি একটা কথাই বলবো স্বাধীনতাকে মূল্য দিতে হবে, স্বাধীনতার বীর সৈনিকদের মূল্য দিতে হবে, শহীদদের মূল্য দিতে হবে, স্বাধীনতার নেতৃবৃন্দের মূল্য দিতে হবে। তাদের অস্বীকার করে আমাদের ভবিষ্যৎ ভাল হবে না। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করা কোনমতেই উচিৎ নয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছিল নির্বাচনের রায়কে অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ বানিয়েছে। সেটা বারে বারে ভূলন্ঠিত হয়েছে, ব্যাহত হয়েছে এবং ২৪ এর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সফলতায় এই দেশের মানুষের অসন্তুষ্টির বহিঃপ্রকাশ। এবং খুব তারাতাড়ি মানুষের ইচ্ছার সময়ের মধ্যে নির্বাচনে না হলে, নির্বাচনে না গেলে মানুষ বিক্ষুব্ধ হবে। শেখ হাসির প্রতি যেমন বিক্ষুব্ধ হয়েছিল তার চাইতেও হয়তো বেশি বিক্ষুব্ধ হবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, সারা দেশবাসীর কাছে বিজয় দিবস ঐতিহাসিক ঘটনা। আমরা হাজার বছরেও স্বাধীন হইনি। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার জন্ম একবারই হয়। জন্মের পরে মৃত্যু যেমন, স্বাধীনতা তেমনি। কিন্তু বিজয় মাঝে মাঝেই আসে, একটা বিরাট কিছু তার মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন হয়। ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টে সত্যিই একটা জাতীর ঔতিহাসিক বিজয় এসেছে।
এই দেশ মানুষের দেশ, সেই দেশকে মানুষের চাহিদামতো পরিচালিত করা হয় নি। সেই কারনে, মানুষের বিক্ষোভের কারনে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সফলতা এসেছে। আমি সেই সফলতাকে অভিনন্দন জানাই, ধন্যবাদ জানাই, আন্তরিকভাবে শুভকামনা জানাই। এসময় জাতীয় স্মৃতিসৌধের তার সঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আর কে