চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
সিএনজি ও প্রাইভেটকার বেশি চলছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। গত শুক্রবার ছুটির দিনের একদিনের পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২৪ ঘণ্টায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ১১ হাজার ১৯৫ টি যানবাহন চলাচল করেছে। এর মধ্যে সিএনজি ও প্রাইভেটকার চলাচল করেছে ৮ হাজার ৫৫১ টি। যদি ঘোষিত হারে টোল আদায় করা হতো তাহলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আয় করতো ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৭০ টাকা। তবে আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে আর টোল দিয়েই চলাচল করতে হবে সকল ধরনের যান।
এ দিকে গত ৩ নভেম্বর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোলের হার নির্ধারণ নিয়ে প্রস্তাব পাঠায় সিডিএ। ২৭ নভেম্বর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় টোলের হার চূড়ান্ত করে।
টোলের হার অনুযায়ী, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ৩০ টাকা, কার জাতীয় গাড়িকে দিতে হবে ৮০ টাকা, জিপ ও মাইক্রোবাসের জন্য টোলের হার ১০০ টাকা। পিকআপভ্যান থেকে নেয়া হবে ১৫০ টাকা। মিনিবাস ও ট্রাক (চার চাকা) থেকে ২০০ টাকা করে, বাস থেকে ২৮০ টাকা নেয়া হবে। ট্রাকের (৬ চাকা) জন্য ৩০০ টাকা এবং কাভার্ডভ্যানের জন্য ৪৫০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ ধরনের গাড়ি চলাচলের সুযোগ রেখে টোলের হার চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে মোটরসাইকেল এবং ট্রেইলার ওঠা-নামার সুযোগ রাখা হয়নি।
জানা যায়, আপাতত সিডিএ টোল আদায় করবে। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে তাদের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম জানান, আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে টোল আদায় কার্যক্রম শুরু হবে।
২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর নগরের লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত নির্মিত এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধন করার পর গত আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হয় চার হাজার ২৯৮ কোটি টাকা।
আর কে