বাংলাদেশের সাথে ২৭০ কিলোমিটার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করছে আরাকান আর্মি। বিদ্রোহী এই গোষ্ঠী এবং বাংলাদেশের মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি করে ভারতীয় গণমাধ্যম নানা তথ্য ছড়াচ্ছে। নাফ নদীতে নৌ চলাচল বন্ধসহ টেকনাফজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি এই হাওয়ায় আরো জোর বাতাস দিচ্ছে।
এইসব প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সাথে আরাকান আর্মির যুদ্ধের অনুমাননির্ভর তথ্য প্রচার হচ্ছে। আসলেই কি আরাকান আর্মির সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে? এমন পরিস্থিতিতে খবর পাওয়া যাচ্ছে সীমান্তে জড়ো হচ্ছে অগণিত রোহিঙ্গা।
মিয়ানমারের রাখাইনের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী শাখা আরাকান আর্মি। ২০২১ সালে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিনং লাইনের সামরিক অভ্যুথানের পরে রাখাইনে এক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের এক রক্তাক্ত লড়াই শুরু করে আরাকান আর্মি। সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে সরকারি বাহিনী। তবে সরকারি বাহিনীর পতনে অঞ্চলটিতে থাকা আরো ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে নিধনের শঙ্কায়। আরাকান আর্মির নিপীড়নে এর মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্তে জড়ো হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা।
তবে বাংলাদেশে বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে সতর্ক পাহাড়ায় রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গার ঢল ঠেকাতে আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নতুন করে রোহিঙ্গা সমস্যা যাতে তৈরি না হয় সেজন্য আন্তর্জাতিক চাপ জোরালো করছে সরকার। রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধনে কাতারে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
নাহিদা