ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩১

পরিচয় পাল্টে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী প্রভু

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

পরিচয় পাল্টে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী প্রভু

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের আলোচিত বিষয়গুলোর অন্যতম হলো ইসকন ইস্যু।আর এই ইসকন ইস্যুতে যার নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত তিনি হলেন,“চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী”

 

ইসকন সমর্থক ও সনাতন ধর্মাবলম্বীর অনেকেই তাকে প্রভু বলেও ডাকেন। যদিও সর্বোচ্চ সম্মানী ব্যক্তি হিসেবে তাকে প্রভু ডাকা হলেও বর্তমানে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ একজন ঘৃনিত ব্যক্তি।

কারন রাষ্ট্রদ্রোহের পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর মত গুরুতর অভিযোগ এখন তার বিরূদ্ধে। বাংলাদেশের মানুষের কাছে চিন্ময় এখন এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম।

 

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের প্রকৃত নাম “চন্দন কুমার ধর”। স্থানীয়দের কাছে চন্দন সাধু নামে সর্বাধিক পরিচিত। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সাতকানিয়া সদর ইউপির করইয়ানগর ১নং ওয়ার্ড বণিক পাড়ায় তার গ্রামের বাড়ি। পিতা আশুতোষ ধর (আশু মাষ্টার) ও মাতা সন্ধ্যা রানী ধরের চার সন্তানের চতুর্থ সন্তান চন্দন। বড় ভাই রঞ্জন কুমার ধর মেজ ভাই অঞ্জন কুমার ধর ও বোন রুনা ধরের পরে তার জন্ম।

শিক্ষা সনদ অনুসারে ১৯৮৫ সালে তার জন্ম হয়। আকষ্মিক বিষয় হলো, তার জন্মের আগের দিনই তার পিতার মৃত্যু হয়। একদিকে তার মা যখন প্রসব বেধনায় কাতরাচ্ছিলেন তখন অপরদিকে তার পিতাকে শ্মশানের চিতায় তুলেছিল প্রতিবেশীরা। 


মাধ্যমিক পরীক্ষার পর চন্দন হাটহাজারী পুন্ডরিক ধামে চলে যান। সেখান থেকেই শুরু হয় তার ইসকন সম্পৃক্ততা। ইসকনে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মূলত চন্দন থেকে নাম হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী প্রভু। পরবর্তীতে ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন চন্দন। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে চন্দনের বিরূদ্ধে শিশু নিপীড়নের অভিযোগে তার উপর ইসকনের যুক্তরাজ্য কার্যালয় থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় যেটি এখনো বহাল রয়েছে। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে চন্দনকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইসকন থেকে বহিস্কার করা হয়। 

 

ফুয়াদ

×