বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং মুজিবনগর সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বাকশাল গঠনের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন আহমদের লেখা ‘তাজউদ্দীন আহমদ, নেতা ও পিতা’ বইতে বাকশাল গঠনে তাজউদ্দীন আহমদের আপত্তি ও মন্ত্রিসভা থেকে তার পদত্যাগ অংশের বর্ণনা দিতে গিয়ে বিস্তারিত বর্ণনায় শারমিন লিখেছেন, আব্বু ও মুজিব কাকু একে অন্যের গৃহে যাতায়াত করতেন অবাধে। তাঁরা একত্রে বুদ্ধি-পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন। একদিন বঙ্গবন্ধু আমার বাসায় চলে আসেন, বেশ বাকবিতণ্ডা হয় তাদের মধ্যে। বাবা খুবই আপসেট ছিলেন। আব্বু তখন মুজিব কাকুকে বলেন, এ জন্যই কি আমরা ২৪ বছর সংগ্রাম করেছি? যেভাবে দেশ চলছে তাতে আপনিও থাকবেন না, আমরাও থাকবো না।
বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এবং জাতীয় লীগ নিয়ে গঠিত একটি রাজনৈতিক ফ্রন্ট ছিল। এটি বাংলাদেশের অধুনালুপ্ত একটি বিতর্কিত রাজনৈতিক দল যা সচরাচর বাকশাল নামে উল্লিখিত। সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একমাত্র রাজনৈতিক দল বাকশাল (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক লীগ) গঠন করা হয়।
নাহিদা