বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের শর্তহীন বাংলাদেশে ফেরা আটকাতে প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়ছে উড়িষ্যা সামুদ্রিক মৎস্য উৎপাদক সমিতি।তিন দপ্তরেই চিঠি দিয়ে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের দেশে ফেরা নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক আলোচনার গোটা প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করেছে উড়িষ্যার মৎস্যজীবীদের সর্ববৃহৎ এই সংগঠন।
ইতোমধ্যে ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের পারাদ্বীপে আটকে থাকা ৭৮ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে বাংলাদেশ ভারত।
মৎস্যজীবী এই সংগঠনের দাবি, বিনা শর্তে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের মুক্তি নয়। বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের পরিবর্তে ফেরত দিতে হবে বাংলাদেশের জেলে আটকে থাকা উড়িষ্যার ৩১ জন মৎস্যজীবীকে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের তরফেও দাবি উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের ৭৯জন মৎস্যজীবীকে ফেরানোর ব্যাপারে।
এদিকে ভারতীয় কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে পাওয়া সর্বশেষ বিবৃতিতে জানানো হয়, গত বুধবার কোস্টগার্ডের নিয়মিত নজরদারির সময় আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাউন্ডারি লাইনের (আইএমবিএল) কাছ থেকে এফভি লায়লা-২ ও এফভি মেঘনা-৫ নামের দুটি ট্রলারসহ বাংলাদেশি জেলেদের আটক করা হয়। ওই জাহাজে থাকা মোট ৭৮ জন ক্রু সদস্যকে উড়িষ্যার পাড়াদ্বীপে নিয়ে আসার পর তাদের আলাদা আলাদাভাবে ভারতীয় কোস্ট গার্ড, ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং সিআইএফ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুরো ঘটনা নিয়ে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবগত আছে, খুব শিগগির এটি নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যদি তাদের হস্তান্তরের নির্দেশ আসে তাহলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আইন মেনে তাদের হস্তান্তর করা হবে।
ফুয়াদ