ছবি সংগৃহীত
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। এরপর থেকেই সেখানে বসবাস করা ৫ লাখ রোহিঙ্গার নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। সেইসাথে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার শঙ্কা বাড়ছে। এদিকে জাতিসংঘ বলছে, রাখাইনে মার্চ-এপ্রিলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। যা ২০ লাখ মানুষের খাদ্য সংকট তৈরি করবে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থী গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ। সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নাফ নদী ও সীমান্ত এলাকায় কঠোর অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। কোনো রোহিঙ্গাকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেওয়া হবে না।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার জানান, “মংডু এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সেনাবাহিনীর পরাজয় ঘটলে আবারও বড় ধরনের রোহিঙ্গা ঢল নামতে পারে।”
অগাস্ট মাসের মধ্যেই মংডু ও তার আশপাশে তীব্র যুদ্ধ শুরু হলে প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সর্বশেষ ৮ ডিসেম্বর আরাকান আর্মি মংডু শহর দখল করলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার ২৭০ কিলোমিটার সীমান্ত তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
এই পরিস্থিতিতে কিছু রোহিঙ্গা দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে জানান উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ গফুর চৌধুরী। তিনি বলেন, রাখাইন থেকে উচ্ছেদ হওয়া রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করছে। যার মধ্যে উখিয়ার পালংখালী, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমঘুম, আশারতলী, তুমব্রু অন্যতম।
জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাখাইনে বীজ ও সার সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। মার্চ-এপ্রিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে উৎপাদন ৮০ শতাংশ কমতে পারে। যা ২০ লাখের বেশি মানুষকে খাদ্যসংকটে ফেলতে পারে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাহেল আহমেদ নোবেল বলেন, “সীমান্ত অপরাধ দমনে বিজিবি সব সময় সতর্ক রয়েছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমাদের টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।”
আশিকুর রহমান