ছবি: সংগৃহীত
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নেমেছে। ফুলেল শ্রদ্ধায় তারা শহীদদের স্মরণ করছেন। ভোর থেকেই বিভিন্ন সংগঠন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে কবরস্থানে আসছেন।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, রাজাকার, আলবদর ও আলশামসদের সহায়তায় দেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তাদের অধিকাংশকেই মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
সকালে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধা জানানোর পর, সাধারণ মানুষের জন্য কবরস্থানে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়।
শহীদ পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ফুল নিয়ে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। কবরস্থানের ভেতর থেকে বাইরে পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে।
শহীদ পরিবারের সদস্যরা প্রিয়জনের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের স্মৃতিচারণ করেন, অনেকেই চোখের পানি ফেলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অনেক সাধারণ মানুষ কবরের সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন অথবা ফাতেহা পাঠ করে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করেন।
এর আগে, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকালে ৭টা ৫ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি, পরে প্রধান উপদেষ্টা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে শহীদদের স্মরণ করেন। এসময় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এম.কে.