ফাইল ফটো
বিশ্বের ১২৬ দেশের বিভিন্ন শহরের মধ্যে সর্বোচ্চ দূষণ আজ ঢাকায়। বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এর সঙ্গে ঢাকার বাতাসে আজ যে দূষণ রয়েছে, তা সুস্থ মানুষের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। সকালে বায়ুর মান পরিমাপ করা হয়েছে ২৫২, যা গত তিন দিনের চেয়ে খুবই অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। শীর্ষ পাঁচে রয়েছে চীনের উহান শহর ও ভারতের আরেক শহর কলকাতা।
আজ শুক্রবার সকাল ৬টার হিসাব অনুযায়ী শহরগুলোর বাতাসের এই অবস্থা ছিল। বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে বায়ুদূষণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
সে হিসাবে দূষণের মাত্রার দিক থেকে ঢাকার বাতাস গতকালের মতো আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর।
সকালের হিসাবে দিল্লির বায়ুমান ছিল ২১০। তৃতীয় অবস্থানে থাকা লাহোরের ১৯৯। এ দুই শহরের বাতাসও আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর। চারে উঠে আসা চীনের উহান শহরের বায়ুমান ১৭৯ এবং শীর্ষ পাঁচে থাকা ভারতের আরেক শহর কলকাতার বায়ুমান ছিল ১৭৬। এ দুই শহরের বাতাস আজ দূষণের মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
এসআর