অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান। বাহিনী হিসেবে র্যাব বিলুপ্ত হবে কি-না সেটিও জানান তিনি। বলেন, এটি সরকারের সিদ্ধান্ত। র্যাবের আয়নাঘর ছিল এবং আছে। গুম খুন কমিশন বিষয়টি তদন্ত করছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সমসাময়িক বিষয় এবং সাম্প্রতিক আভিযানিক কার্যক্রম সম্পর্কে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
একেএম শহিদুর রহমান বলেন, র্যাবের বিরুদ্ধে গুম খুনসহ কিছু অভিযোগ আছে। র্যাবের দ্বারা যারা নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সেসবের বিচার নিশ্চিত করা হবে। ভবিষ্যতে এ বাহিনী এমন কোনো কার্যক্রমে কারও নির্দেশে জড়িত হবে না।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমডোর (অব.) ইসফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, অনেক দেরিতে হলেও সত্য করা হয়েছে। সেজন্য তাদের প্রশংসা করি। র্যাবের গঠনটাই ছিল, অগণতান্ত্রিক অসাংবিধানিক। সেনা, পুলিশ ও বিমানবাহিনী নিয়ে বাহিনী গঠিত হয়েছে র্যাব। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে নষ্ট হয়েছে।
আমরা ক্রসফায়ারের নামে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। এগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। রাজনৈতিকভাবে যে দাবি আসছে, র্যাব বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এটা অত্যন্ত সংগত চিন্তা। গুম খুন করা হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিষেধাজ্ঞা আসলো, তখন ক্রসফায়ার বন্ধ হলো।
তিনি বলেন, যারা অপরাধে জড়িত ছিল, তাদের কোনভাবেই দায়মুক্তি হবে না। নারায়ণগঞ্জ সেভেন মাডার যারা করেছে- তাদের ব্যক্তিগতভাবে দায়মুক্তি হওয়া উচিত নয়। তারা আইনের সামনে আসবে। দেশের আইন অনুযায়ী বিচার হবে।
ইসফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, সরকারের অনুমোদন ছাড়া যারা এগুলো ঘটেনি। নীরব অনুমোদন ছিল। র্যাব যখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, পিচ্ছি হান্নানের ক্রসফায়ার দিয়েই র্যাবের যাত্রা শুরু। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বিচার বিভাগের যে দীর্ঘসূত্রিতা। গরীব মানুষ যে বিচার পায় না- এই কালচার থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতেই হবে। সরকার দায় মুক্তি এড়াতে পারে না!
এসআর