ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

আগামী বছরের জুনে উদ্বোধন

স্বপ্না চক্রবর্তী

প্রকাশিত: ২২:২২, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

আগামী বছরের জুনে উদ্বোধন

.

দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প হিসেবে স্থান পেয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি এই প্রকল্পের কাজ বিগত সরকারের আমলে খুব তোড়জোড় করেই শুরু হয়েছিল। নির্মাতা রাশিয়ান কোম্পানি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শেষ করেছে নির্মাণ কাজও। কিন্তু সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে নির্মিত হয়নি এর সঞ্চালন লাইনের কাজ। কয়েক দফা পিছিয়ে এই ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের (পিজিবি) তথ্য অনুযায়ী, কাজ শেষ হতে সময় লাগবে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ জুন মাসে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনটটি উৎপাদনে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা।
উষ্ণ আবহাওয়া আর দ্রুত শিল্পায়নের প্রভাবে দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে ইতোমধ্যে উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে এর প্রথম ইউনিটটি। কথা ছিল ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই এটির উদ্বোধন হবে। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এসেছে সঞ্চালন লাইনের কাজে স্থবিরতা। বিশেষ করে এর নদীর ওপর স্থাপিত হতে যাওয়া-এর সঞ্চালন লাইনের অধিকাংশ বিদেশী কর্মী রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দীর্ঘদিন নিজ দেশে চলে যাওয়ায় পিছিয়ে যায় নির্মাণকাজ। আর যদি সঞ্চালন লাইনই তৈরি না হয় তাহলে এর উদ্বোধন করেও কোনো লাভ হবে না। বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হতে পারবে না। তাই সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে এর উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত আপাতত পেছানো হয়েছে। তবে সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের জুনে উৎপাদন শুরু হতে পারে মনে করছেন তারা।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ (পিজিবি) জানিয়েছে, রূপপুর পারমণাবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঞ্চালন লাইন তৈরির কাজ সাতটি প্যাকেজের মাধ্যমে চলছে। এর মধ্যে রূপপুর থেকে বাঘাবাড়ী পর্যন্ত ৬৫ দশমিক ৩১ কিলোমিটার ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজের অগ্রগতি শতভাগ। আমিনবাজার থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৯০ শতাংশের বেশি। রূপপুর থেকে ঢাকা (আমিনবাজার-কালিয়াকৈর) ১৪৭ কিলোমিটার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ১৪৪ কিলোমিটারের অগ্রগতি ৭০ শতাংশের মতো, ধামরাই পর্যন্ত ১৪৫ কিলোমিটারের অগ্রগতি ৬০ শতাংশের কিছু বেশি, বগুড়া পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটারের অগ্রগতি ৬০ শতাংশের মতো এবং ৯টি বে এক্সটেনশন নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৩০ শতাংশের ওপরে। সব মিলিয়ে স্থলভাগের ৯৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
তবে জটিলতা তৈরি হয়েছে জলভাগ তথা নদীপারাপার নিয়ে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ ইভাকুয়েশনের জন্য সঞ্চালন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. মাসুদুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, ভারত, সিঙ্গাপুর, তুরস্কসহ অন্য দেশের  যেসব নাগরিক সঞ্চালন লাইন নির্মাণের মূল কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন গণঅভ্যুত্থানের সময় নিরাপত্তা শঙ্কায় তারা সবাই নিজ নিজ দেশে ফিরে যান। তাই নির্মাণকাজে ধীরগতি এসেছিল। দেশ স্বাভাবিক হওয়ার পরে তারা ফেরেন। ফলে কাজ দেরিতে শুরু হয়। বর্তমানে নদীশাসন এবং স্থলভাগ মিলিয়ে ৫০-৫৫ ভাগ কাজ শেষ। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি।
পিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বেশিরভাগ কর্মীই ভারতীয়। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক নানা ইস্যুতে টানাপোড়েনের প্রভাব সঞ্চালন লাইন নির্মাণেও পড়েছে দাবি করে পিজিবির এক কর্মকর্তা বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে বিদ্যুৎ স্থানান্তর করতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রকল্পগুলোর দায়িত্ব পাওয়া ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অনেকদিন কাজে অনুপস্থিত ছিলেন। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও ট্রান্সরেল লাইটিং লিমিটেডের (টিটিএল) কয়েকজন কর্মী ফিরে এলেও লারসেন অ্যান্ড টুব্রো লিমিটেড (এল অ্যান্ড টি) বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা ফিরতে দেরি করে। এলঅ্যান্ডটির ভারতীয় কর্মীদের ফিরতে ২৪ সেপ্টেম্বর হয়ে যায়। 
সব কর্মী ফিরতে ফিরতে পুরো অক্টোবর মাস লেগে যায়। ফলে নির্মাণ কাজও পিছিয়ে যায়। তাই ডিসেম্বর তো দূরে থাক আগামী বছরের মার্চের আগে কাজ শেষ হবে বলে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, বর্তমানে দেশজুড়ে ১৭টি সঞ্চালন লাইন প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় কোম্পানিগুলো। দায়িত্বপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে-এলঅ্যান্ডটি, ট্রান্সরেল ও কেইসি। এই সঞ্চালন প্রকল্পগুলোর বেশ কয়েকটি চলতি বছরের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করতে যাওয়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু মাঝপথে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন এতে ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ভারতীয় অন্যতম শীর্ষ ঠিকাদার লারসেন অ্যান্ড টুব্রোকে পাবনার রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ স্থানান্তরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য প্রধান প্রধান চুক্তিগুলো দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ৪০০ কেভি ও ২৩০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপনের দায়িত্ব পেয়েছে যেগুলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের গ্রিড সিংক্রোনাইজেশন এবং টেস্টিং প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর কাজ ২০২৫ সালের প্রথম দিকে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন কবে নাগাদ এর কাজ শেষ হবে কেউ বলতে পারছে না।
পিজিবির তথ্যমতে, পদ্মা ও যমুনা নদীর ওপর দিয়ে ১৬ কিলোমিটার রিভারক্রসিং লাইনসহ মোট ৬৬৯ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনের কাজ করছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ট্রান্সরেল লাইটিং। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে ২ কিলোমিটার সিঙ্গেল সার্কিট ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ লাইন এবং যমুনা নদীর ওপর দিয়ে ৭ কিলোমিটার ডাবল সার্কিট ৪০০ কেভি ও ৭ কিলোমিটার ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। কিন্তু এ কাজেও এসেছে ধীরগতি। এসব বিষয় নিয়ে পিজিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রশিদ খান জনকণ্ঠকে বলেন, সংকট কাটিয়ে আবারও সব কর্মীরা পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। আশা করছি, আগামী বছরের শুরুতেই সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ পুরোপুরি শেষ করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছিলাম। নিরাপত্তা ইস্যু নিশ্চিত হওয়ার পর অক্টোবরের শেষের দিকে তারা প্রায় সবাই আবারও কাজে যোগ দেয়। কিন্তু টানা তিন মাস কোনো কাজ না হওয়ায় ততদিনে আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। যার ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রিড লাইন পুরোপুরি  রেডি করা সম্ভব হয়নি।
সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২৫ সালের শুরুতেই কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সঞ্চালন লাইন নির্মাণে কিছুটা দেরি হয়েছে স্বীকার করে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জনকণ্ঠকে বলেন, স্থলভাগের কাজ প্রায় ৯৬ শতাংশই শেষ। আপনারা জানেন নদী পারাপারের কাজটা খুব কঠিন। অতিরিক্ত পলিমাটির কারণে কাজ এগুনো মুশকিল হচ্ছে। তবে আমাদের সব কর্মীরা শতভাগ উৎসাহে কাজ করে যাচ্ছে। তারা আমাদের জানিয়েছেন আগামী মার্চের মধ্যেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। তার পর পরই আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের সঞ্চালন লাইন বুঝিয়ে দিতে পারব বলে আশা করছি।
সঞ্চালন লাইন তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আরও অন্তত দুই মাস প্রয়োজন জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা আশা করছি আগামী বছরের জুনে কেন্দ্রটি পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যেতে পারবে।
প্রসঙ্গত, পাবনার রূপপুরে দেশের সবচেয়ে বড় এই প্রকল্পটিতে চলছে এখন শেষ মুহূর্তের কাজ। রাশিয়ার অর্থায়নে কেন্দ্রটি নির্মাণের কাজ চলছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে। এটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলে দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা অনেকটাই মিটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এ প্রকল্পটি চালু করার সময় যে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে, তা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে নেওয়া হবে। প্রকল্প এলাকায় এই বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তুতির কাজও এগিয়ে চলছে। এর প্রথম অংশের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। অক্টোবরের আগে বাকি কাজও শেষ হবে। চূড়ান্তভাবে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার আগে ডিসেম্বরে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রকল্পের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অলক চক্রবর্তী জনকণ্ঠকে বলেন, রাশিয়ার উদ্ভাবিত থ্রিজি (+) ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হয়েছে এখানে। এর জ্বালানিও সরবরাহ করবে রাশিয়া। গত বছর অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য বিশেষজ্ঞ তৈরি ও তাদের প্রশিক্ষণের কাজও করছে রাশিয়া। প্রকল্পটি চালুর পর ৫-৬ বছর বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরাই এটি পরিচালনা করবেন। পরে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণকাজের সঙ্গে এতদিন সঞ্চালন লাইনের কাজও তাল মিলিয়ে চলছিল। কিন্তু রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা কিভাবে কাটিয়ে উঠবে তা নিয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা আশা করছিলাম চলতি বছরের ডিসেম্বরেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। কিন্তু যেহেতু একটা গণঅভ্যুত্থান দেশে হয়ে গেছে। তাই কিছুটা স্থবিরতা থাকবে এটা স্বাভাবিক। তবে আমরা বিশ্বাস করি অন্তবর্তী সরকার এই সংকট কাটিয়ে উঠবে
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এ প্রকল্পে সিংহভাগ অর্থায়ন দিয়েছে রাশিয়া। ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে রাশিয়ার অর্থায়ন রয়েছে ৯৩ হাজার কোটি টাকা। এ প্রকল্পের ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিটের সক্ষমতা মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। চলতি বছরে প্রথম ইউনিট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর রূপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের কংক্রিট ঢালাইয়ের মধ্য দিয়ে রূপপুর প্রকল্পের মূল পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। পরবর্তী বছর ২০১৮ সালের ১৪ জুলাই প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের কংক্রিট ঢালাই উদ্বোধন করা হয়।

জোবায়ের আহমেদ

×