ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

শক্তিশালী কূটনীতি অবস্থানে বাংলাদেশ: নতজানু ভারত

প্রকাশিত: ১৮:২৩, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

শক্তিশালী কূটনীতি অবস্থানে বাংলাদেশ: নতজানু ভারত

গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার এক দফা দাবির প্রবল গণআন্দোলনের মুখে সাবেকে স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গিয়ে আত্নরক্ষা করে। তার পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করে অন্তবর্তীকালীন ইউনূস সরকার। ইউনূস সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভারতের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তিশালী কূটনীতি অবস্থান নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

 

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পর এই প্রথম কোন বাংলাদেশি সরকার তাদের নিজেদের শক্ত অবস্থানের কথা জানান দিয়েছে। এর ফলে নতজানু হতে বাধ্য হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত।

স্বাধীনতার পরবর্তী সময়কালে  ভারত ইস্যুতে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান।

এরপর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেই অবস্থান থেকে সরে শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেন। কিন্তু তার পরবর্তীতে আর কেউ সেই অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি।

পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা ভারতের কাছে দেশে সর্বস্ব বিলিয়ে দেন। এ বিষয়ে তিনি নিজেই বলেছেন, ‘ভারতকে যা দিয়েছি সারা জীবন মনে রাখবে।’

ক্ষমতাগ্রহণের পর ভারতীয় ‘র’য়ের প্রেক্রিপশনে বাংলাদেশে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটান শেখ হাসিনা ।এ যেমন সে সময়টায় ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলিখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিডিআরকে দুর্বল করে ফেলার চেষ্টা করা হয়।

পরিবর্তী জাতীয় নির্বাচনগুলোর স্বাক্ষী সারা দেশের মানুষ।জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের প্রভুভক্ত বানিয়ে ভারত একচেটিয়া বাংলাদেশের গুরত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোয় শেখ হাসিনার সহায়তায় ইচ্ছাকৃত হস্তক্ষেপ করে গেছে।তখন বাংলার মানুষের চিন্তার উদ্রেক হয়েছে এই শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।যার জন্য দেশে বিভিন্ন সময় মানুস জুলুমের শিকার হলেও দেশ বিক্রি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়সহ সর্বত্র প্রতিবাদ করে গেছেন মানুষ। ভারতের সহায়তার বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদে বসার বিনিময়ে দেশ থেকে লুট করা অর্থের বড় অংশ ভারতের স্বার্থ রক্ষায় ব্যবহার করা হতো করা হতো।

গণঅভ্যুত্থানের হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শপথ গ্রহণের আগেই আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তার কূটনৈতিক অবস্থান বিশেষ করে ভারত ইস্যুতে তার অবস্থান পরিষ্কার করেন। এতেই ভারতের দাদাগীরির মনোভাবে ধাক্কা লাগে।

পরবর্তীতে সরকার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের শক্ত অবস্থানের কথা জানান দেয়। গত ৪ মাসে সরকারের নানা পক্ষে ভারত বুঝতে সক্ষম হয় যে, এখন আর বাংলাদেশে তাদের হস্তক্ষেপ চলবে না। বরং বাংলাদেশের সাথে তার যত ভালো সম্পর্ক রাখবে, তাদের ব্যবসা বাণিজ্য ও অখণ্ডতার জন্য ততই মঙ্গলজনক হবে।

 

 

 

ফুয়াদ

×