ছাত্র আন্দোলনের মুখে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলদেশবিরোধী অপপ্রচার বাড়ছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ ও অন্তর্বর্তী সরকার নানা বক্তব্য দিয়েছে।
গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা বারেবারে তাদের (ভারত) বলছি যে আপনারা আসেন এখানে, দেখেন, এখানে কোনো বাধা নেই। কিন্তু না, তারা ওখান থেকেই কল্পকাহিনী বানিয়ে যাচ্ছে।
কল্পকাহিনির তালিকায় শনিবার (৭ ডিসেম্বর) যুক্ত হলো এবিপি আনন্দের আরও একটি খবর।
এবিপির শিরোনাম বলছে, আমরা সবাই তালিবান, এদেশ হবে আফগান।' পদ্মাপাড়ে উঠছে স্লোগান, পড়শি বাংলার ওপর চাপ কতটা?
এমনই শিরোনামে এবিপি আনন্দ সংবাদ প্রকাশ করে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে,কট্টরপন্থীদের খপ্পরে পড়ে কি ধর্মনিরপেক্ষতার পথ থেকে তালিবানি মডেলে চলতে শুরু করবে বাংলাদেশ?
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়,পেশায় ব্যবসায়ী , সমর সরকার এসেছিলেন কলকাতায় আত্মীয়র বাড়িতে। শুক্রবার সকালে, পেট্রোপোল সীমান্তে শোনালেন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। শোনালেন ভয়াবহ কথা ! সেখানে নাকি মিছিল করে জারি করা হচ্ছে ফতোয়া। টার্গেট মহিলারা। মহিলাদের ফতোয়া জারি করেছে যে তারা ঘর থেকে বেরোতে পারবে না, পর্দা ছাড়া। খুলনা থেকে এদেশে আসা এক বাসিন্দার দাবি, সেখানে মিছিল হচ্ছে, 'আমরা সবাই তালিবান, এদেশ হবে আফগান।
এপিবির এমন মিথ্যাচারমূলক সংবাদ প্রকাশের পর ফুঁসে উঠেছে বাংলাদেশের মানুষ।ভারত বাংলাদেশ সাম্প্রতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে একের পর এক মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেই যাচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।মানুষের দাবি এপিবির এই মিথ্যাচারের লাগাম টানার কি কেউ নেই?
ফুয়াদ