![প্রচুর মেয়ে নিখোঁজ, বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে: নেপথ্যের কাহিনী প্রচুর মেয়ে নিখোঁজ, বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে: নেপথ্যের কাহিনী](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/15-4-2412071550.jpg)
ছাত্র আন্দোলনের মুখে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলদেশবিরোধী অপপ্রচার বাড়ছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ ও অন্তর্বর্তী সরকার নানা বক্তব্য দিয়েছে।
গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা বারেবারে তাদের (ভারত) বলছি যে আপনারা আসেন এখানে, দেখেন, এখানে কোনো বাধা নেই। কিন্তু না, তারা ওখান থেকেই কল্পকাহিনী বানিয়ে যাচ্ছে।
কল্পকাহিনির তালিকায় শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) যুক্ত হলো এবিপি আনন্দের আরও একটি খবর।
যেখানে এবিপি আনন্দ প্রাতিবেদনের শিরোনামে দাবি করে,হিন্দুদের ওপর অত্যাচারে এবার সরব বাংলাদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ, 'প্রচুর মেয়ে নিখোঁজ, বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে...
এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে প্রতিবেদনে দাবি করে,বাংলাদেশে কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা যখন প্রতিদিন হিন্দুদের মারছে, ঘর পোড়াচ্ছে, মন্দির ভাঙছে, তখন হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্য়াচার নিয়ে সরব হলেন সেদেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের একাংশ। মাতৃভূমির জন্য দুঃখ বুকে নিয়েই ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ভারতে আসা বাংলাদেশিরা।
প্রতিবেদনে আরো দাবি করা হয়,সমগ্র বাংলাদেশের হাজার হাজার সংখ্য়ালঘুদের নামে মিথ্য়া ও হয়রানিমূলক মামলা প্রদান করা হয়। পাঁচ শতাধিকের ওপরে নিরীহ সংখ্য়ালঘুদের আহত করা হয়, শতাধিকের ওপর ঘরবাড়ি লুঠপাট করা হয়। সেবক কলোনিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। নারীদের শ্লীলতাহানি করা হয়, বহু মন্দির ভাঙচুর করা হয়।'
মহিলারা শাখা সিঁদুর পরে বেরোতে পারছে না। হিন্দু বুঝে গেলে সমস্যা। প্রচুর মেয়ে নিখোঁজ। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। মৌলবাদীরা বাড়ি বাড়ি হামলা করছে। রাত্রিবেলা অত্যাচার করছে। চাকরি করলে ছাড়তে হবে। নাহলে ধর্মান্তরণ করতে হবে। তালিবানি কায়দায় করা হচ্ছে।
ফ্যাক্ট চেকিং এবং সরজমিনে দেখা যায় এবিপি আনন্দের দাবি করা খবর একেবারে ভুয়া ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট।বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ।তাঁদের এই মিথ্যা দাবিকে জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন।তারা অবিলম্বে এবিপির এমন মিথ্যা সংবাদ প্রচারের শাস্তি দাবি করেছেন।
ফুয়াদ