গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আশরাফ কায়সার
বাংলাদেশের একজন গণহত্যাকারীকে, পতিত স্বৈরাচারকে যারা আশ্রয় দিয়েছে তারা একই অভিযোগে অভিযুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আশরাফ কায়সার। সম্প্রতি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের এক টকশোতে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়াও যারা প্রতিনিয়ত তাকে প্রশয় দিচ্ছে, তার ভিডিও কল প্রচার করছে অথবা তার সাহায্যে নাশকতার চেষ্টা করছে, অরাজকতা সৃষ্টি করছে তারা রাজনৈতিক অপরাধে অভিযুক্ত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এছাড়াও তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংখ্যালঘুরা অনেক নির্যাতন হলেও ভারত সেটি নিয়ে কখনো মাথাব্যথা দেখায়নি কারণ তাদের সহযোগীরা ক্ষমতায় ছিল। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় থাকা দলটি ভারতের আজ্ঞাবহ ছিল।
ভারতীয় মিডিয়া নিয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় মিডিয়া তিলকে তাল বানাচ্ছে। কখনো কখনো তিল খুঁজে না পেলে তারা মিথ্যাচার করছে। তারা বলছে বাংলাদেশ নাকি জঙ্গিরা নিয়ে নিয়েছে,ইসলামিস্টরা নিয়ে নিয়েছে। সংখ্যালঘুরা প্রতিদিন মারা যাচ্ছে, তাদের ঘরবাড়ি পোড়ানো হচ্ছে।
যেসব কর্মকান্ড রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে তারা সেগুলোকে ধর্মীয় আবরণ দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এখন অন্তর্বতী সরকারের উচিত একটি উচ্চমানের ন্যারেটিভ প্রচার করার জায়গা তৈরি করা উচিত। সেই ন্যারেটিভ ভারতীয় ভাষায় প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ভারতের জনগণ বুঝতে পারে ভারত সরকার আর তাদের ইন্টারেস্ট এক জায়গায় দাড়িয়ে নেই।
তিনি বলেন, দুঃখজনক হচ্ছে শুধুমাত্র বিজেপি নয় কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসকেও দেখা গেছে একই সুরে গান গাইতে। মিথ্যাচারের উপর দাড়িয়ে তাদের মিডিয়া যা প্রচার করছে,তাদের অভ্যন্তরীণ মিটিং এ একই কথা বলা হচ্ছে যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত না। আরেকটি বিষয় করতে হবে, পশ্চিমা বিশ্বের কাছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার মত দেশের কাছে প্রচার করতে হবে যে এটি ভারতীয় প্রোপাগান্ডা। ভারতকে অপরাধী রাষ্ট্র হিসেবে মুখোশ উন্মোচন করার একটি মোক্ষম সুযোগ এসেছে। ভারত একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশের সরকার গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে, গণঅভ্যুত্থান নিয়ে মশকরা করছেন, তার একটি জনগোষ্ঠীকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন এবং পতিত স্বৈরাচারকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
নাহিদা