২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-২ আসনের সাবেক বারবার নির্বাচিত জনপ্রিয় এমপি এম ইলিয়াস আলী।
ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের পর থেকেই তাকে ফেরত পাওয়ার দাবিতে দেশজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপিসহ বিভন্ন অঙ্গসংগঠন।
দেশের বেসরকারী একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে ইলিয়াস আলীর গুমের পর দীর্ঘদিন পর তাকে নিয়ে মুখ খুলেছেন, সাবেক বিএনপির জাতীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) মিজানুর রহমান।
মিজানুর জানিয়েছে, শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়।
স্বৈরাচার পরাজিত হয় সব জায়গায় উল্লেখ করে মি.মিজানুর রহমান আরো জানান,পৃথিবীর কোথাও স্বৈরাচার চিরস্থায়ী হয় না। পৃথিবীর সব জায়গাতে স্বৈরাচার পরাজিত হয়েছে। কিন্তু একেক দেশে এক সময়ে। স্বৈরাচারের পরিণতি যেটা হয় এখানেও তাই হয়েছে। এর চেয়ে ভয়বহ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেনাবাহিনীর কারণে হয়নি। কিন্তু এটাকে আমি দোষ দেব না। সেক্ষেত্রে দেশে একটা বিশৃঙ্খলা হতো। আমি চাই না দেশে একটা বিশৃঙ্খলা হক; শেখ হাসিনা অন্যায় করেছে, হত্যা করেছে ও ষড়যন্ত্র করেছে; তার বিচার এদেশে হবে।
কেউ বিনা বিচারে কাউকে হত্যা করুক- শেখ হাসিনার মতো ক্রসফায়ারের নামে- যেভাবে আমাদের ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমের মতো অসংখ্য প্রতিপক্ষকে হত্যা করা হয়েছে। আজকে আরেকটা জিনিস আমি বলে দিই— এই ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন শেখ হাসিনা, ডিজিএফআই, র্যাব ও র্যাবের একটা স্পেশাল ইউনিট। তার অপরাধ- খুব সম্ভবত তারিখটা ছিল ২০১২ সালের ২৭ মার্চ। ঢাকায় যুবদলের একটা অবরোধ হয়েছিল। সেখানে একটা প্রোগ্রাম ছিল। সেটার মাধ্যমে বেশ কয়েক লাখ লোক ঢাকা শহরে বসে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সেই প্রোগ্রামটা কো-অর্ডিনেট করেছিলেন ইলিয়াস আলী। এই প্রোগ্রামের কারণে শেখ হাসিনা মনে করেছিলেন তার সরকারকে উৎখাত করার জন্য ইলিয়াস আলী পরিকল্পনা করেছেন। শুধু এই ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে- মানে একটি শিক্ষা দেওয়া জন্য।
ফুয়াদ