একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দেওয়া জবানবন্দিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম বলেননি। এ মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
বিএনপির দাবি অনুযায়ী, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার তদন্ত এবং পরবর্তী বিচার প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তি ও তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিএনপি অভিযোগ করে থাকে যে, তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
যেসব স্বীকারোক্তি আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা "জোরপূর্বক" আদায় করা হয়েছে এবং এগুলো বিচারিক মানদণ্ডে গ্রহণযোগ্য নয়। শেখ হাসিনা বিদেশি তদন্তকারী দলকে সহযোগিতা করেননি এবং নিজের গাড়ি তল্লাশিতে বাধা দিয়েছেন।বিএনপির দাবি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দেওয়া জবানবন্দিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম বলেননি। এ মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, রাজনৈতিকভাবে এ মামলাটা পরিচালিত হয়েছে তারেক রহমান এবং বিএনপির বিরুদ্ধে। যখন শেখ হাসিনা ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দেন, সেখানেও তারেক রহমানের নাম ছিল না। পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাধন করার জন্য তারেক রহমানকে এ মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এ মামলার কোনো এভিডেন্স নেই, ১৬৪ ধারায় যা করা হয়েছিল (মুফতি হান্নানের সাক্ষ্য) তার কোনো সাক্ষ্যমূল্য নেই, কোনো সাক্ষী তারেক রহমানের নাম বলেননি। সব বিবেচনা করে তারেক রহমানসহ সবাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
জাফরান