ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলা, পতাকা ছিঁড়ে ফেলা ও দিল্লির আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারাদেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। ক্ষোভ জানাচ্ছে দেশের সাধারণ জনতাসহ সবাই।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক কমিটি, ছাত্র সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে দিল্লির আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এমনকি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদও দিল্লির আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
দেশের আপামর বৃদ্ধ,জোয়ান,তরুণ,নারী,পুরুষ সবাই একমত হয়েছে যে দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত আসলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী,জাতীয় নাগরিক কমিটি, জাসদ, এবি পার্টি, , খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ঢাকার বাইরে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। যে বিক্ষোভ সবাবেশে,রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ছাড়াও অংশ নিয়েছেন দেশের সর্বোস্তরের জনগণ।
সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশের পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে ভারত। তাদের এ ষড়যন্ত্র কোনো দিনও সফল হতে দেবো না।
ভারতের এ ষড়যন্ত্রকে আমরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের শামিল বলে মনে করি। আমরা প্রয়োজনে ৫ আগস্টের মতো আবারও রক্ত দেবো, যুদ্ধ করব।
তারা মনে করেন, বিগত শেখ হাসিনা সরকারকে এই ভারতই বিভিন্ন বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে ফ্যাসিস্ট বানিয়েছে।যাদের বুদ্ধিতে দেশে এমন একজন স্বৈরাচার পরপর তিনবার প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছে।তাই সবার ,জনগণের একটাই দাবি যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন,তারা হিসেব করে যেন ভারতের সাথে নিজেদের ন্যায্য হিস্যা আদায় করে নিতে পারে।
ফুয়াদ