গোলাম মোর্তেজো।
মধ্যপ্রাচ্যের রাজপুত্ররা যে জীবনযাপন করেন, সজীব ওয়াজেদ জয় ওয়াশিংটনে সেই জীবনযাপন করে বলে মন্তব্য করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা।
তিনি বলেছেন, পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। আপনারা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখেন ওয়াশিংটনে সে কিছু করে না। কখনোই কিছু করতো না। খোঁজ নিয়ে দেখেন সে দুবাইয়ের বা মধ্যপ্রাচ্যের রাজপুত্ররা যে জীবনযাপন করেন, জয় ওয়াশিংটনে সেই জীবনযাপন করে। কিন্তু তার কোন পেশা নাই। তিনি কিছু করেন না। তথাকথিত কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তাহলে হিসাব করে দেখেন কত টাকা সে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এক স্যাটেলাইট তৈরির জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার উপরে খরচ করেছে। কিন্তু ৫-৬শ কোটি টাকার বেশি খরচ হয় নাই। এই রকম আরও কত আছে। বাংলাদেশের নাগরিকদের গোপন তথ্যের যে ডাটাবেজ সেটাও বিক্রি করে দিয়েছে পলক আর জয় মিলে।
সিনিয়র এই সাংবাদিক বলেন, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা। তারও কোন পেশা নাই। লন্ডনে সে বিশাল বড় বাড়িতে থাকে। সেই বাড়ি আবার সালমান এফ রহমানের ছেলের নামে। মানে সম্পর্কটা কোন পর্যায়ে। মানে টাকাটা কিভাবে দেশের বাইরে নিয়ে গেছে। এই আলোচনাগুলো বহু বছর ধরে আমরা করতে পারিনি। এগুলো সামনে আনা দরকার।
প্রবাসীদের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে গোলাম মোর্তোজা বলেন, দুবাই হোক, সৌদি আরব হোক বা যে কোন দেশ হোক না কেন এই যে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ করে যাওয়ার যে ধারা তৈরি হয়েছে, লুটপাট-জালিয়াতির যে ধারা তৈরি হয়েছে এই ধারাটা বর্তমান সরকার বন্ধ করে দিতে পারে। বর্তমানে যিনি প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আছেন তিনি প্রবাসীদের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। তার নজরে যদি এই দাবিটি তোলা যায় তাহলে তিনি নিশ্চয় এই জায়গাটিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন।