বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো নিয়ে পশিচমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বলেন, কট্টর হিন্দত্ববাদী ও মমতার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ভারতের রাজনীতিবিদরা মুখে যাই বলুক, তারা যে বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করেন তার প্রমাণ হচ্ছে শুধুমাত্র মমতা ব্যানার্জির কারণেই তিস্তা নদীর পানির চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি।
রিজভী বলেন, ‘তিনি (মমতা) কী উদ্দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীকে বাংলাদেশে পাঠানোর প্রস্তাব করছেন এটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে খোলাসা করা উচিৎ। একটি অনির্বাচিত অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লুটেরা রেজিমকে মদদ দেওয়ার বিনিময়ে ভারত একতরফাভাবে অনৈতিক স্বার্থ ও ফায়দা হাসিল করছিল।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রজনতা জনস্বার্থবিরোধী ভারতের সেই তাবেদার রেজিম উৎখাত করেছে।
ভারতের অনৈতিক স্বার্থ হাসিলের ছেদ পড়ায় সেখানকার রাজনীতিবিদ ও নীতি-নির্ধারকরা এখন বেসামাল হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশ ১৮ কোটি মানুষের দেশ। এই দেশ কিভাবে চলবে সেটি এ দেশের জনগণ নির্ধারণ করবে। কোনো দেশের গভীর চক্রান্তের নীল নকশা কখনোই বাস্তবায়িত হবে না।
রিজভী আহমেদ বলেন, ভারত থেকে নানান উসকানির পরও বাংলাদেশে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। শান্তিরক্ষী পাঠানোর মতো বক্তব্য, সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের হুমকির সমান বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।
বিএনপির এ নেতার দাবি, শেখ হাসিনার পতনে ভারতীয় শাসকগোষ্ঠী মুষড়ে পড়েছে। দেশ থেকে পাচার করা অর্থের বিরাট অংশ ভারতে পাচার হয়েছে৷ আর তা সেখানকার রাজনীতিবিদদের পিছনে খরচ করা হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের সাথে অঘোষিত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও মনে করেন বিএনপির এই নেতা।
আর কে