ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জয় শংকর
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার(২ ডিসেম্বর) জানিয়েছে যে, ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে অনুপ্রবেশের ঘটনা 'গভীরভাবে দুঃখজনক'।
এ ঘটনা ঘটে যখন হাজার হাজার মানুষ ত্রিপুরার রাজধানীতে একটি বিশাল মিছিল করে। মিছিলকারীরা ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ, তার মুক্তি এবং বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা বন্ধের দাবিতে অংশ নেয়।
এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, "কূটনৈতিক ও কনস্যুলার স্থাপনাগুলো কোনো পরিস্থিতিতেই আক্রমণের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।"
ভারত সরকার, বাংলাদেশ হাইকমিশন ও দেশে তাদের ডেপুটি/সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদারে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কার্যালয়ের কাছে মিছিলটি হয়। এটি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) একটি সংস্থা হিন্দু সংগ্রাম সমিতির ব্যানারে আয়োজিত হয়।
ভিএইচপি-র ত্রিপুরার সম্পাদক শঙ্কর রায় সাংবাদিকদের জানান, "শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির ও বাড়িতে হামলা চালানো হচ্ছে, ব্যবসা লুটপাট হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "সম্প্রতি ইসকনের চিন্ময় প্রভু বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করেন এবং মিথ্যা অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।"
শঙ্কর রায় জানান, "আমরা চাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই গ্রেপ্তার ও হিন্দুদের ওপর আক্রমণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করুক।"
এ বিষয় নিয়ে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।এছাড়াও ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ চলছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
নাহিদা