ছবি সংগৃহীত
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে জাতীয় স্বাধীন কমিশন গঠনে দেরি হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। কমিশন গঠনের পূর্ণাঙ্গ তথ্য ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের হাইকোর্ট বেঞ্চকে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, ‘কমিশন গঠন এখনও প্রক্রিয়াধীন। মতামতের জন্য তা এখন আইন মন্ত্রণালয়ে আছে।’
৬ নভেম্বর এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া রিটকারীর আবেদন ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। জাতীয় স্বাধীন কমিশন গঠনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইনি নোটিশ পাঠিয়ে সাড়া না পাওয়ায় গত মাসে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ভয়াবহ বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনার পর হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৩ সালে হত্যা মামলার বিচার শেষ হয়, যেখানে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। আর ২৭৮ জনকে খালাস দেয়া হয়।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপরদিকে ২৮৩ জন খালাস পান।
ইসরাত