ছবি সংগৃহীত
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে এক প্রাইভেটকার চালকের আলিশান বাড়ি নির্মাণ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ওই চালকের নাম আতিকুর রহমান।
প্রাইভেটকার চালক হয়ে আতিকের কয়েক কোটি টাকার সম্পদ অর্জনে এখন প্রশ্ন উঠেছে।
আতিকুর আর দশজনের মতো সাধারণ কোনো গাড়িচালক নন। সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদেরের গাড়িচালক ছিলেন তিনি। মন্ত্রী পরিবারের ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে এসব সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে আতিকের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, আতিকুর রহমান। ছোট বেলায় প্রাইমারীর গণ্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিকে প্রবেশ করে লেখাপড়ায় ইতি টানেন। এর পর বেবি ট্যাক্সি ড্রাইভিং এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার কর্মজীবন। বড় ভাই সরকারি দপ্তরে ড্রাইভিং পেশায় চাকরির সুবাদে এক সময়ে তার সহযোগিতায় আতিক কাজ পান ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর প্রাইভেটকার চালক হিসেবে। সেই সুবাদে অবৈধ পথে রোজগার করেন মোটা অংকের টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, করোনাকালীন সময়ে সিংগাইর থেকে ইটভর্তি ট্রাক ঢাকায় প্রবেশ করতে বিধি-নিষেধ থাকলেও মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে আতিক গাড়ি প্রতি ৫ হাজার টাকা করে নিতেন। ফলে ভাটা মালিকরাও তার শরণাপন্ন হতেন। এভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এছাড়াও আতিকের রাজধানী ঢাকায় রয়েছে জেন্টস পার্লার ও রেস্টুরেন্টের ব্যবসা।
আতিকুরের সম্পদ কতটা বৈধ তা সরকারি সংস্থাগুলোকে খতিয়ে দেখার আহ্বান করেছেন দুদক আইনজীবী। এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায় নি আতিকুর কে।
ইসরাত