ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১

পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের উদ্দেশ্য চসিক মেয়র

কোন ধরণের ফাঁকিবাজি করার চেষ্টা করবেন না

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০৩:১৬, ২ ডিসেম্বর ২০২৪; আপডেট: ০৩:১৭, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

কোন ধরণের ফাঁকিবাজি করার চেষ্টা করবেন না

পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, কোন ধরণের ফাঁকিবাজি করার চেষ্টা করবেন না। যে কাজকে আপনারা রুজি-রোজগার হিসেবে নিয়েছেন; সেটাকে হক-হালালভাবে করার চেষ্টা করবেন। আমি মনিটরিং করছি এবং এটা চলমান থাকবে। কাজ করবেন না, অথচ বেতন নেবেন এটা হবে না। এধরনের কোন প্রমান পাওয়া গেল চাকুরি থাকবে না।

 

রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে নগরের ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ড পরিদর্শনে গিয়ে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ হুঁশিয়ারি দেন।  

ডা. শাহদাত বলেন, আমি শুনেছি যে আপনারা পরিচিত লোক দেখে দেখে স্প্রে মারেন। যারা পরিচিত তাদের বাসায় মারবেন, যারা অপরিচিত তাদের বাসায় মারবেন না এটা হতে পারে না। প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সমান। সমানভাবে সব জায়গায় মশার ওষুধ স্প্রে করবেন। বর্তমানে আমরা একটা ভালো মশার ওষুধ দিয়েছি মস্কুবান সলিউশন। সেটা প্রতিটা ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদও আছে। কিন্তু ঠিকমতো ওষুধের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।  

মেয়র ওয়ার্ডে কর্মরত পরিচ্ছন্ন কর্মীদের হাজিরা প্রত্যক্ষ করেন এবং পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নানাবিধ সমস্যার কথা শুনেন। এসময় ডোর টু ডোর শ্রমিক মো. রহিম বাদশার চোখের সমস্যার কথা শুনে তার চোখের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন মেয়র। পাশাপাশি অনিয়মিত পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সতর্ক করেন এবং একজনের পরিবর্তে অন্যজনের চাকরি করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান।

মেয়র বলেন, আগের মেয়র-কাউন্সিলররা ইচ্ছামাফিক লোক নিয়োগ দিয়েছেন। এক ওয়ার্ডে ৭০ থেকে ৯০ জন এমনকি অনেক ওয়ার্ডে ১০০ জনও আছে। আমি মনে করি প্রত্যেকে তার নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে। এর বিনিময়ে সে বেতন নিচ্ছে। আমার যেটা দায়িত্ব অবশ্যই আমি তা করবো। পরিচ্ছন্ন কাজের নিরাপত্তা সরঞ্জাম, ভ্যান গাড়ি শিগগির ব্যবস্থা করা হবে। জনগণের সেবক হিসেবে আমি দায়িত্ব নিয়েছি এবং তারাও আমার একটা অংশ। যাতে জনগণের কোনো দুর্ভোগ না হয়, সে ব্যাপারে নৈতিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করবে বলে আমি আশা করি।

ওয়ার্ড সচিবদের সতর্ক করে মেয়র বলেন, বর্তমানে কাউন্সিলর না থাকার কারণে জন্মনিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ এই দুই ব্যাপারে সচিবদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। জনসাধারণ যাতে কোনোভাবেই নাগরিক সেবা নিতে এসে হয়রানির শিকার না হয়। কিছু ওয়ার্ড সচিবের উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। আমি অবিলম্বে তাদের সাথে একটা মিটিং করবো। যে সব ওয়ার্ড সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বদলিসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাজেই আপনারা সাবধান থাকুন। কেউ যাতে আপনাদের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ করতে না পরে।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, আইন কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দীন মুরাদ, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী (মারুফ) প্রমুখ।

এমএম

×