বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়ায় অটোমেশন পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লারের সামনে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিকৃত ভুক্তভোগি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন। শতাধিক মেডিকেল শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মানববন্ধন থেকে অটোমেশন বাতিলের জোর দাবি জানান। একইসাথে মেডিকেল শিক্ষা খাত ধ্বংসে এই পদ্ধতি ভারতের একটি ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, পছন্দের কোনো মেডিকেলে চান্স পেলে, সেক্ষেত্রে আমরা পরিবারের সাথে থাকতে পারতাম এবং পারিবারিক সাপোর্ট পেতাম। যেহেতু মেডিকেলের পড়ালেখা অনেক কঠিন ও কষ্টসাধ্য। তাই পরিবার মানসিকভাবে সাহায্য করতে পারতো। নিজের পছন্দ না থাকায় যেটার আমরা কখনো নাম শুনিনি সেই মেডিকেল কলেজগুলোতে আমাদের চলে আসতেছে। সেজন্য আমরা অনেক সময় মানসিকভাবে ভেঙেও পড়ছি। কিন্তু আমাদের হাতে কোন বিকল্প নেই। অনেক মেধাবী পছন্দের কলেজ না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে অথবা অন্য সেক্টরে চলে যাচ্ছে। তাই মেডিকেল শিক্ষা খাত ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে অটোমেশন বাতিল করতে হবে।
তারা আরো বলেন, অটোমেশন একটি দীর্ঘ মেয়াদি ও সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। চার থেকে পাঁচবার মেধা তালিকা প্রকাশের পরেও আসন ফাঁকা থাকায় বিলম্বে ক্লাস শুরু হচ্ছে। ফলে ক্লাস নিয়ে শেষধাপে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। নতুন পড়া এবং পুরাতন পড়া গোছাতে যথেষ্ঠ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে আমাদের। ফলে অনেক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ঙেঙ্গে পড়ছে। এছাড়া পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে না পারা এবং পারিবারিক সাপোর্ট না পেয়ে অনেকেই মেডিকেল শিক্ষা শেষ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে চিকিৎসা শিক্ষা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই। আমাদের জীবন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে “বেসরকারি মেডিকেলে অটোমেশন বাতিল করো করতে হবে; ফ্যাসিস্ট আ.লীগ সরকারের অটোমেশন বাংলাদেশে চলবে না; ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ, অটোমেশনের দিন শেষ; গণঅভ্যুত্থানের বাংলাদেশ, ভারতীয় অটোমেশন নিপাত যাক; অটোমেশনের নামে হটকারি সিদ্ধান্ত, ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাজীবন করছে ধ্বংস”সহ বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন দেখা যায়।
এসআর