সারজিস আলম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগে বাধ্য হন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার। এতে জীবন দিতে হয় বহু ছাত্র-জনতাকে। এখনো হাসপাতালে আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন অনেকে।
ময়মনসিংহ বিভাগে শহীদ হন ৯৩ জন। এ ছাড়া আহত হন আরও অনেকে, তাদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ নগরীর তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে এক সভা শেষে শহীদ পরিবারের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। এ সময় অনুদানের চেক পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। প্রাথমিকভাবে ৫৫ জন শহীদ পরিবারের হাতে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলো বিতরণ করা হবে।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আহত ও শহীদদের সঠিক তথ্য সংগ্রহে কাজ করার কথা জানিয়ে তাঁদের পাশে সব সময় থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন সারজিস আলম।
এ সময় সারজিস বলেন, ‘আমরা যদি বেঁচে থাকি, তাহলে আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও শহীদ পরিবারের পাশে থাকব। তাদের শরীরে বিন্দু পরিমাণ আঁচ লাগতেও দেব না।’
সারজিস আরও বলেন, ‘আমরা ব্যর্থ হলে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না। প্রশাসনের মধ্যে যারা জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বর্তমান প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। আজকে যাঁরা পদ পেয়েছেন, তা আমাদের আন্দোলনের জন্য। আর আপনারা যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আপনাদের পদে থাকার প্রয়োজন নেই। আপনাদের মধ্যে যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিচার আপনাদেরই করতে হবে।’
ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বলতে গিয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘শহীদ এবং আহতদের পরিবারকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে আমাদের এই ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়েছে। আপনারা সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। আমরা আমাদের ফাউন্ডেশনের হিসাব সঠিক না রাখলে ২০ বছর পরও যদি শেখ হাসিনার দোসররা ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই কারণে আমাদের জেলে যেতে হবে। তাই এটিকে একটি শক্তিশালী স্বচ্ছ ফাউন্ডেশন করতে চাই।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মুগ্ধ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. ইউসুফ আলী, জেলা প্রশাসক মো. মুফিদুল আলম প্রমুখ।
ইসরাত