‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ সেল
কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ শব্দটির সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না অনেকেই। অবশ্য এখন শব্দটির সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। ইউরোপ, আমেরিকা তো বটেই বাঙালিরাও এ উৎসব পালন করছেন নানাভাবে। বিশেষ করে কেনাকাটায়। বিভিন্ন শোরুম, ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে অনলাইনের পেজগুলোতে দেওয়া হচ্ছে ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ সেল।
এটি সর্বপ্রথম আমেরিকায় শুরু হয়েছিল। তবে, এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য পাশাপাশি এশিয়া মহাদেশ এমনকি বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলের কারণে অনেক ই-কমার্স ওয়েবসাইট পণ্যে ছাড় দিচ্ছে। ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে শুধু অনলাইন নয়, অফলাইন স্টোরেও পাওয়া যাচ্ছে বিশাল ছাড়। মানুষও এই সেলে প্রচুর কেনাকাটা করছে। এত বেশি বিক্রি হয় যা সারাবছরেও হয় না অনেকের।
কথিত আ,েছ ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে ১০০০ ডলার মূল্যের একটি টিভি ২০০ ডলার পর্যন্ত বিক্রি হয়। ওয়ালমার্টের মতো বৃহত্তর কোম্পানি তাদের নেট মুনাফা ১ জানুয়ারি থেকে শুরু করে বছরের ১৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ব্ল্যাক ফ্রাইডে ১৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে পারে।
মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘থ্যাঙ্কসগিভিং’-এর ঠিক পরেই ব্ল্যাক ফ্রাইডের বিক্রি শুরু হয়। ‘থ্যাঙ্কসগিভিং’ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবান্ন উৎসব। দিনটি পালিত হয় নভেম্বরের শেষ বৃহস্পতিবার এবং নভেম্বর মাসের শেষ শুক্রবার পালিত হয় ব্ল্যাক ফ্রাইডে। ১৮৬৯ সালে প্রথম আমেরিকায় শুরু হয় ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল। সে বছর আমেরিকায় দেখা দেয় ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা চলছিল। বিশেষ করে ২৪ সেপ্টেম্বর মার্কিন সোনার বাজারে বিপর্যয় দেখা দেয়।
ব্যবসায়ীরা একের পর এক লোকসান গুনতে গুনতে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। তখন তারা এমন একটি দিনের কথা ভাবছিলেন, যেদিন সব পণ্যে থাকবে বিশেষ ছাড়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নভেম্বরের শেষ শুক্রবার হবে সেই দিন। আমেরিকায় ১৮৬৯ সালের শেষ শুক্রবার দিনটিকে বলা হয় ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’। -সূত্র : হিস্টোরি ডটকম