ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে সব পক্ষের কাছে সহযোগিতার আহ্বান: শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব

প্রকাশিত: ১৯:০০, ২৯ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৯:০১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে সব পক্ষের কাছে সহযোগিতার আহ্বান: শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব

চলমান শ্রমিক অসন্তোষ নিরষনে মালিক, শ্রমিক, ট্রেড ইউনিয়ন সহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কাছে সহযোগিতার জন্য বিনীত আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিঁনি বলেন আমরা মনে হয় সবাই দিন দিন অসহিষ্ণু হয়ে উঠছি। মালিকপক্ষ ন্যায্য বেতন ভাতাদি পরিশোধে সব ক্ষেত্রে শ্রমিকদের হিউমিলেট করে সেটা সঠিক নয়। আমি ৮ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নেয়ার পর উপদেষ্টা মন্ডলি, মালিক-শ্রমিক সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে আপনাদের সবার সহযোগিতায় বিদ্যমান শ্রমিক অসন্তোষ কিছুটা হলেও প্রশমিত করা গেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, ডাইফি ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সবাই মিলে মালিক-শ্রমিকদের সাথে নিয়ে দিনরাত কাজ করছি।

তিঁনি আরও বলেন যৌথবাহিনী শ্রমঘন এলাকায় রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রন এ কাজ করছে। ১৮ দফা যৌথ ঘোষনা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ৯৯% কারখানা এখন পূর্ণ উৎপাদনে রয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি ফ্যাক্টরির সমস্যা নিয়ে আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রবল সংকটে থাকা এমন ৪ টি বড় ফ্যাক্টরির সমস্যা শ্রম মন্ত্রণালয় এর উদ্যোগে সমাধানও করা হয়েছে। ৬ জন সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলির সমন্বয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক গঠনের পর গতকাল বিকেলে প্রায় ৩ ঘন্টা এসব বিষয়ে সভা করে সমাধানের পথ বের করা হয়েছে। সরকারের ঐকান্তিক চেষ্টা এবং প্রচেষ্টা যতটুকু সম্ভব অব্যাহত রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে শ্রম অধিকার কমিশন কাজ শুরু করেছে। গতকাল শ্রম ভবনে সুলতান কমিশনের প্রথম মিটিং শেষে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এবং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এতসব কার্যক্রমের পরেও গতকাল বিকাল ৪:৪৫টায় কালিয়াকৈর এর চন্দ্রায় মাহমুদ গার্মেন্টসের মালিক জনাব রাফি মাহমুদকে তার শ্রমিকরা ফ্যাক্টরিতে অবরুদ্ধ করে পিটিয়ে যেভাবে যখম করেছে তা সম্পূর্ণ অনাকাংক্ষিত এবং নিন্দনীয়। সেখানে এর থেকে ভয়ংকর কিছু ঘটতে পারত। শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব তার আশু সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আর এ ঘটনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে কঠিন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানিয়েছেন। পাশাপাশি শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ভাতাদি পরিশোধে সমস্যা থাকলে শ্রম আইনের আওতায় সমাধানের জন্য সকল পক্ষকে অনুসরনের আহবান জানিয়েছেন। 

তিনি মনে করেন আরএমজির এ অস্থিরতা এখনই বন্ধ না হলে  শ্রমিক মালিক সকল পক্ষই চরম সংকটে পরবে। দেশের অর্থনীতির উপর নিঃসন্দেহে বিরূপ প্রভাব পরবে।  এরপর এমন ঘটনা আর না ঘটার জন্য সবার কাছে সে সহযোগিতা চেয়েছেনএবং সকলের জন্য মংগল কামনা করেছেন।

এম শাহজাহান

×