ছবি সংগৃহীত
সম্প্রতি ইসকন ইস্যুতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারতীয় মিডিয়াগুলো।
অথচ তাদের নিজেদের দেশেই সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের ঘটনা ভুরি ভুরি। ভারতের সংখ্যালঘু হত্যা, গ্রেফতার ও শ্লীলতাহানি নিয়ে অনেকবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ জানিয়েছে৷
বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। অথচ গত দশ বছরে ভারতে কমেছে সংখ্যালঘুদের স্বাধীনতা।
ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৪.২% মুসলমান হলেও ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, জেলখানায় বন্দি ১৯.১% মুসলমান। যার মধ্যে অন্যতম ইসলামিক স্কলার মওলানা করিম সিদ্দিকী।
এছাড়া, ২০১৬ সালে বিখ্যাত ইসলামিক স্কলার জাকির নায়েককে দেশ ছাড়া করা হয়। বন্ধ করা হয়েছে তার পিস টিভি।
এছাড়া মসজিদ ভেঙে মনৃদির তোলার ইতিহাস তো রয়েছেই।
ভারতের মনিপুরেও সংখ্যালঘু নির্যাতন বিদ্যমান। গেলো বছর দুই নারীকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করা হয় ভারতের মনিপুরী রাজ্যে। নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে মনিপুর ইস্যুতে অবহেলার অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা।
তবে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটানো হয় গুজরাটে। ২০০২ সালে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গায় হত্যা করা হয় এক হাজারের বেশি মানুষকে যাদের বেশিরভাগই মুসলিম। দাবি করা হয় ওই হামলায় প্রত্যক্ষ মদদ ছিলো তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
ইসরাত