জনাব মান্নান।
একটি সভাতে জনাব মান্নান বলেন, আমি যা ভাবতেই পারি নাই ডক্টর ইউনুর সেরকম অনেক কিছুই ভেবে ভেবে কাজ করছেন। একটা বিরাট বিতর্ক চলছে আওয়ামী লীগ আগামীতে কি করবে তারা কি আগামীতে ভোট করতে পারবে, আমি যদি দেখি আওয়ামী লীগ কোনদিন মিছিল করছে, তাদের টাঙিয়ে পেটানোর ব্যবস্থা করব।
তারা যেভাবে বলে তাদেরকে কিশোর গ্যাং নাকি সরিয়েছে কিশোর গ্যাং যদি সরিয়েও থাকে তাদের পক্ষে এটাও সম্ভব নয়। তারা যেভাবে ১৫ বছর দেশটাকে লুটে পুটে খেয়েছে। এর পক্ষে তারা কোনরকম বক্তব্য হাজির করতে পারবে। তিনি আরো বলেন তারা কত টাকা লুটপাট করেছে তাদের ডকুমেন্ট আছে।
তিনি বলেন হাসিনা নিজে বলেছেন তার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। এর জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে তারা যদি মনে করে থাকেন রাজনীতির মাঠে আবার এসেই তারা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবেন তাহলে ভুল ভাবছেন তারা।
সেক্ষেত্রে মান্নান সাহেব বলেন আওয়ামী লীগের ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম এবং একেবারেই শূন্য। একই সাথে তিনি বলেন ডক্টর ইউনুসের ক্ষমতায় থাকার ধান্দা করার কোন প্রয়োজন নাই। কারণ সে তার জায়গা থেকে অনেক বড় মাপের মানুষ।
তিনি বলেন ডক্টর ইউনুস যদি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন দেন গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন তাহলে দেশের মানুষ তাকে সর্বোপরি সম্মান করবে শ্রদ্ধা করবে কারণ এটাই মানুষ চায়। মানান সাহেব আরো বলেন ডক্টর ইউনুস কথা বেশি বলেন না কিন্তু কাজ করে দেখান।
তিনি আরো বলেন ডক্টর ইউনুস আওয়ামী লীগকে ব্যান করার কোন কথা বলছেন না কিন্তু এমন ভাবে কাজ করছেন আওয়ামী লীগ কোন শব্দ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। তিনি আরো বলেন আওয়ামী লীগ শব্দ করার কোন সুযোগ পাবেও না।
শেখ হাসিনা যদি মোদির সাথে গিয়ে বসেও থাকেন তারপরেও পারবেন না। তিনি বলেন এরপর যদি আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়, আন্তর্জাতিক আদালত যদি আমাদের মামলা এডমিট কর, তাহলে শেখ হাসিনাকেও ডাকা যাবে কারণ তিনিও কম লোক মারেননি।
শেখ হাসিনাকে জবাব দিতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে মোদির কোন কিছু করার সাহস নাই, কারণ আন্তর্জাতিকভাবে তাকে ডাকা হবে সেই সাথে।
তিনি ইসকনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন ইসকনের অনুমোদন আছে কিনা সেটা তিনি জানতে চান ।তিনি আরো যুক্ত করে বলেন আমার দেশের হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সেটা আমরা বুঝব এতে মোদি সরকারের এত কথা বলার কি আছে। এরা তো ভারতের নাগরিক নয় সেক্ষেত্রে ভারত কেন এত কথা বলছ। এবং তার জন্য আমার জবাব দিতে হবে এবং তাদেরকে সন্তুষ্ট করতে হবে এরকম তো হওয়ার কথা না।
জনাব মান্নান আরো বলেন আমি ভারতকে বলতে চাই আমার দেশের জনগণের মধ্যে কোন বিভেদ নেই আমাদের কাছে সবাই সমান, আমরা সবার অধিকার প্রতিষ্ঠা করব কোথাও যদি রক্ষা না হয় সেক্ষেত্রে জানাবে আমরা পদক্ষেপ নিব।
তিনি আরো বলেন আজ যদি ইসকনের কোন সভা হয় আর একই জায়গা দিয়ে যদি আমি যেতে থাকি তারা যদি আমাকে দেখা মাত্র মারা শুরু করে,আর এরকম যদি চলতে থাকে তাহলে এই দেশ বাঁচবে কি করে।
অতএব এসব বন্ধ করার জন্য সরকারের যা যা করা উচিত সরকার করবে এবং আমরা সরকারের পাশে থাকব। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যেই পরিমাণ ধৈর্য শক্তি আছে সেটা পৃথিবীর অন্যত্র কোথাও নেই। একই সাথে তিনি আরো বলেন এখন পর্যন্ত কোন হিন্দুর গায়ে একটা টোকা পড়েছে, বলেন আমি ১৯৬৪ সালে পহেলা জানুয়ারিতে ঢাকাতে এসেছি। তখন রায়োট চলছে। বিহারীরা ছিল কিছু হলেই, কলকাতায় যদি কোন মুসলমানের গায়ে কেউ ছুরি চালায় তাহলে সে ক্ষেত্রে এখানে দুজন হিন্দুর গায়ে ছুরি চালানো হতো। তিনি আরো বলেন ট্রেন্ড টু পাকিস্তান সেখানে ট্রেন ভর্তি লাশ ছিল সেই বীভৎস পরিস্থিতি আমরা চাই না।
আমাদের দেশ আমাদের গর্ব, তাই যে যা বলে বলজা। তিনি আরো বলেন আগে শেখ হাসিনা ওদের পা ধুয়ে পানি খেত কিন্তু আমরা হাতও নিয়ে যাব না ওরা হাত বাড়ালে আমরা হাত বাড়াবো ওরা হাত ফিরিয়ে নিলে আমরা হাত ফিরিয়ে নেব।
তিনি বলেন আমি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছি না কেউ যদি মনে করেন আমরা ইন্ডিয়ার কাছে বাধা রয়েছি এটা সত্যি তা।ইন্ডিয়া ও আমাদের কাছে বাধা রয়েছে।
সবশেষে তিনি বলেন আমরা সবাই বন্ধুর মতো হয়ে থাকতে চাই তিনি বলেন সবার উপরে আমাদের যে কাজ সেটা হচ্ছে নিজেদের সমস্যার সমাধান করা তিনি মনে করেন, সেদিকে আমরা যাচ্ছি সে ক্ষেত্রে চোখ-কান খোলা রেখে কাজ করতে হবে।
আর কে