সরকারের দুই উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার বলেছেন, প্রো-হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন ইস্কনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো আলোচনা সরকারের ভেতরে হয়নি। এর মাধ্যমে ইস্কন নিষিদ্ধ করার ধারণাটিকে কার্যত প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
"এ বিষয়ে হয়ত কিছু দাবি থাকতে পারে, তবে আমরা মনে করি কোনো ব্যক্তির অপকর্মের দায় কোনো সংগঠনকে নেওয়া উচিত নয়," প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা সাঈদা রিজওয়ানা হাসান বলেন। তিনি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছিলেন।
তিনি আরও জানান, ইস্কন নিজেই ঘোষণা করেছে যে তাদের সাথে চিন্ময়ের কোনো সম্পর্ক নেই। চিন্ময় একজন ইস্কন অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
চিন্ময়কে কী অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানতে চাইলে ব্রিফিংয়ে উপস্থিত আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, তার বিরুদ্ধে একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল এবং তদন্ত শেষ হওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মূল্যবোধের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রোথিত রয়েছে এবং কোনো ষড়যন্ত্র বা উসকানি এসব মূল্যবোধকে ক্ষতি করতে পারবে না। তিনি জনগণকে এমন উসকানির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
মাহফুজ আলম জানান, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী নেতারা বুধবার ও বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঠেকাতে তারা কিছু নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, মন্ত্রিসভায় জুলাই বিপ্লবের সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা হুমকির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি সবাইকে আহ্বান জানান, কোনো দাবি পূরণের জন্য ধ্বংসাত্মক পথে না যাওয়ার।
এর আগে সন্ধ্যায় জামায়াতে ইসলামী দলের আমির শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সরকারি অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করে।
বৈঠক শেষে জামায়াত প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, তাদের দল ন্যূনতম সংস্কার সম্পন্ন করার পর নির্বাচন চায়। একইসঙ্গে তিনি সরকারের প্রতি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
নাহিদা