অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, দেশে অশনি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। ঝড়ের পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে। দেশের নির্বাচনই কি যথেষ্ট?নির্বাচন যখন হয় না। তখন আমরা সবাই জানি দেশে নির্বাচন দরকার। কিন্তু নির্বাচন তো বহুবার হয়েছে। কিন্তু তাতে কি হয়েছে? গণতন্ত্র কি রক্ষা হয়েছে। আমরা গণতন্ত্রের কথা যদি বুঝতে পারতাম। তাহলে স্বৈরতন্ত্রের উৎপত্তি হতো না।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আমাদের কবি সাহিত্যিকরা শুধু নন। বুদ্ধিজীবীরা তাদের ছেলে-মেয়েদের বিদেশে লেখাপড়া করান। বিদেশে লেখা পড়া করে আমরা ইংরেজী ভাষা শিখবো। এতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু বাইরে এসে তারা বাংলায় কথা বলার কথা বলেন। কিন্তু লেখা পড়ার মাধ্যম কেন ইংরেজী হবে? এই প্রশ্ন কি ইউনূস সরকার তুলবেন? এই সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল। এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ, প্রকৃতি শূণ্যতা সহ্য করে না। স্বৈরতন্ত্রের যখন পতন হয়েছে। তখন সেই শূণ্যস্থান কাউকে না কাউকে তা পূরণ করতে হবে। যারা পূরণ করেছেন, তাদের কর্মসূচি কি? আমরা এখনো তা জানি না।
সলিমুল্লাহ খান বলেন, এখন আপনি বলবেন। আপনি তাহলে বিভেদের কথা বলছেন, আমাদের এখন জাতীয় ঐক্য দরকার। হাড় যদি ভেঙ্গে যা, তাহলে চামড়া দিয়ে কি ঐক্য দিয়ে হবে? আমাদের সেজন্য ঐক্যর কথা ভাবতে হবে। যদি স্বৈরতন্ত্রের পুনর্বাসন আমরা না চাই। তাহলে গণতন্ত্রের অভ্যুদয় সংজ্ঞা দিচ্ছে স্বৈরাচারদেরও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে সুযোগ দেওয়া হবে। এটা কি করে কথা হতে পারে।
তিনি বলেন,আমরা শুনতে পাচ্ছি, যারা গণহত্যার জন্য দায়ি। ইংরেজীতে এটাকে (massacre) বলে। বিচার করার আগে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। যে সকল বুদ্ধিজীবীরা জাতীয়তাবাদের নামে বড় বড় বই লিখেছেন। আমি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সাহেবের কথা যদি বলি। তারা কিন্তু পাকিস্থান আমলেও ঘোরতর পাকিস্তানী ছিলেন। ১৯৭১ সালেও তারা পাকিস্তানী ছিলেন।
তিনি বলেন, ৫ আগষ্ট নিঃসন্দেহে এটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন। কিন্তু এর ফলাফল ভোগ করার জন্য একটি পক্ষ এতটাই তৎপর হয়ে উঠেছে। তাতে করে এই আন্দোলন বিফলে যাবে। যে ঘটনা আমরা দুদিন হয় দেখছি চট্টগ্রাম এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায়। তাতে মনে হচ্ছে, দেশে একটা অশনি সংকেত। চতুর দিকে দেখ যাচ্ছে।
এই অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য কবি, সাহিত্যিকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে একটা অভিন্ন অবস্থানে দাঁড়াতে হবে। কোন ক্রমেই যেন আবার আমরা কোনো স্বৈরাচারের প্রত্যাবর্তনের পথকে সুগম না করি। সেজন্য আমাদের ভাবতে হবে যেন জনগণের পছন্দের বাইরে কোনো সরকার গঠিত না হয়। জনগণের ইচ্ছা প্রকাশের মাধ্যম নির্বাচন।
১৯৭১ সালে একটা বিপ্লবের মাধ্যমে এইদেশকে আমরা পেয়েছি। সেটা অস্বীকার করা কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু কেউ কেউ বলছে রাষ্ট্রের নাম বদলাতে হবে। জাতীয় সংগীত বদলাতে হবে। যা মোটেই কাম্য নয়।
শহিদ