ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সংবাদ সম্মেলন

পিলখানায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা ট্রাইব্যুনালে বিচার চাইবে

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৫৮, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

পিলখানায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা ট্রাইব্যুনালে বিচার চাইবে

পিলখানায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা ট্রাইব্যুনালে বিচার চাইবে

রাজধানীর পিলখানায় বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) শীর্ষ কর্মকর্তাদের হত্যাকা-ের ঘটনার ‘সঠিক বিচার’ চাইতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাবেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
এ হত্যাকা-ের ‘প্রকৃত’ ঘটনা উন্মোচনসহ ‘পর্দার আড়ালের ষড়যন্ত্রকারীদের’ বিচার নিশ্চিত করতে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিলের কথা জানিয়েছেন পিলখানায় শহীদ কর্নেল কুদরত ইলাহীর সন্তান অ্যাডভোকেট সাকিব রহমান। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী রাওয়া ক্লাব হলে ‘পিলখানায় ৫৭ অফিসারসহ ৭৪ জনের হত্যার বিচার এবং শহীদ সেনা দিবসের দাবিতে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়।
প্রায় ১৬ বছর ধরে চলা বিডিআর কর্মকর্তাদের হত্যার মামলাটি আপিল ডিভিশনে থাকলেও সর্বশেষ পরিস্থিতি শহীদ পরিবারের সদস্যদের জানা নেই বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন অ্যাডভোকেট সাকিব রহমান। তিনি বলেন, মামলা চলাকালীন এই দীর্ঘ সময়ে আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি। আমার যারা ভুক্তভোগী তারাই মামলার পরিস্থিতি জানি না, দেশের মানুষ কীভাবে জানবে?
তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকা-ের পর্দার আড়ালের ষড়যন্ত্রকারী, যারা গত সরকারের সময় ক্ষমতায় ছিল আমাদের প্ল্যান অব অ্যাকশন হচ্ছে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কমপ্লেন ফাইল করব। এতদিনেও বর্তমান সরকারের সময় হয়নি আমাদের পাঁচ মিনিট দেওয়ার। যারা কমপ্লেন ফাইল করব, সেসব শহীদ পরিবারকে সরকার নিরাপত্তা দেবে বলে আশা করছি। কারণ, আমরা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব তারা গত সরকারে ক্ষমতায় ছিল।
অ্যাডভোকেট সাকিব আরও বলেন, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব। আন্তর্জাতিক আইনের ডকট্রিন অব কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকেও বিচারের মুখোমুখি আনা সম্ভব। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে তিনিও দায় এড়াতে পারেন না। তার বিরুদ্ধেও আমরা অভিযোগ করব। এছাড়া, তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা, বিশেষ করে ডিজিএফআই কর্মকর্তা যারা ছিলেন। তখনকার সময় কিছু সাংবাদিক যারা ভুল ন্যারেটিভ সৃষ্টি করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও আমরা অভিযোগ আনব।
তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকীন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদ সরকার আওয়ামী লীগ চাইবে না গুম-খুনের বিচার হোক। যেহেতু এখন বাধা নেই, তাই বিডিআর সদস্য হত্যার তদন্ত দ্রুত শেষ করে জড়িতদের আইনের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হোক।
পিলখানা হত্যাকা-ের দিনটিকে শহীদ দিবস ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে রাকীন বলেন, জড়িতদের সাজা দিলে দেশের সব মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়াবে। যারা হত্যাকা-ের বিচার চাওয়ায় চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাদের সুনির্দিষ্ট একটি ব্যবস্থা করতে হবে।

×