বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক খান তালাত মোহাম্মদ রাফি বলেছেন, আমাদের নিরাপত্তাঝুঁকি আছে। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক। শহীদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আরিফ ভাইয়ের কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আমাদেরকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
মি.রাফি আরো জানান, হয়তো তাদের বেঁচে থাকার কথা ছিল না। অথচ এখন কথা বলতে পারছেন। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র প্রতিনিয়তই ঘিরে আছে এবং বিভিন্নভাবে তাদেরকে বিপদের সম্মুখীন করার চেষ্টা চলছে। সারজিস ও হাসনাতসহ তারা আজ নিহত আলিফের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাদের সাথে তিনটা গাড়ি ছিল। তারা কবর জিয়ারত করতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে সৌভাগ্যবশত তারা গাড়ি চেঞ্জ করে ফেলেছিলেন। হাসনাত ও সারজিস একটা গাড়িতে ছিলেন, সে একটা গাড়িতে ছিলেন। এবং রাফির বন্ধুরা ও ভাইয়েরা অন্য আরেকটা গাড়িতে ছিলেন। তাদের সামনে ওই গাড়িটা ছিল। একটা ট্রাক এসে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের সামনের গাড়িকে চাপা দেয়। যখন ট্রাক আসতে দেখেছে, তখনই গাড়িটা ব্রেক করা হয়। কিন্তু গাড়ি ব্রেক করা স্বত্তেও ট্রাক চাপা দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, গাড়িতে ট্রাকচাপা দেওয়ার পরও আরও দুটি বাইক দিয়ে চাপা দেওয়া হয়। এ সময় ড্রাইভারকে ধরে জিজ্ঞেস করা হলে সে বলে, তাকে মেরে ফেললে মেরে ফেলন। মামলা দেবেন? দিন। মানে সে ভিত্তিহীন কথা বলতে থাকে। পরে রাফিরা জানতে পারেন যে ট্রাকটি চাপা দেয়, সেই চালক হলো আওয়ামী দোসর। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
রাফি বলেন, আমাদের নিরাপত্তাটা কোথায়? আমরা জানিনা। আমরা শুরু থেকে বলে আসছি, দিন নাই রাত নাই আমরা ছুটে চলছি। যখন যেখানে যে সমস্যা হচ্ছে আমরা যাচ্ছি। কথা বলতেছি। কিন্তু কিছু মহল শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের পেছনে লেগে আছে আমাদের ক্ষতি করার জন্য। যার প্রতিফিলন আজ আপনারা দেখেছেন।
ফুয়াদ