নিহত আইনজীবী চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী সরকারি কৌশলী (এপিপি) সাইফুল ইসলাম আলিফের সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বাসায় সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকেসহ সন্তানদের সময় দিতে মঙ্গলবার একটু আগেভাগেই চেম্বার থেকে বের হয়েছিলেন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। কিন্তু সেই আগে বের হওয়াই কাল হলো আইনজীবী আলিফের। ঘাতকদের নৃশংসতায় প্রিয় আদালত এলাকাতেই জীবনপ্রদীপ নিভে যায় আলিফের।
নিহত আলিফের সহকর্মীরা জানায়, আইনজীবী আলিফের কোমরে ব্যথা ছিল। সম্ভবত এ কারণে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার সময় দৌঁড়ে অন্যদের মতো পালাতে না পারায় হামলাকারীদের শিকারে পরিণত হন তিনি। তারা আইনজীবী আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করে।
বুধবার চতুর্থ দফা জানাজা হয় আলিফের গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়ার চুনতির পানত্রিশা গ্রামে। এর আগে চট্টগ্রাম শহরের আদালতপাড়া ও জমিয়তুল ফালাহ মাঠে জানাজা হয়। পরে লোহাগড়া সদরে একবার জানাজা শেষে তাঁর প্রিয় বাড়িতে হয় শেষ জানাজা। চারটি জানাজাতেই মানুষের উপস্থিতি জানান দিয়েছে আলিফ ছিলেন জনপ্রিয়। মানুষের অংশগ্রহণ আর অশ্রু বলেছে এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের কথা।
জানাজায় আলিফের সহকারীরাসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। বাড়ির জানাজার পর এক পাশে আলিফের বাবাকে স্বান্তনা দিচ্ছিলেন কেউ কেউ। অনেকটা বোবা হয়ে থাকা আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বললেন, ‘ছেলে আমাকে দেখতে এসেছিল শনিবার। ওইদিনই শেষ দেখা ও কথা হয়। আমার নিরীহ ছেলের হত্যার বিচার আমি চাই। নিরপেক্ষভাবে শক্ত বিচার চাই।’
ফুয়াদ