গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী চক্রের সদস্য রিপন (২৮)
গুলশান থেকে আইয়ুব খান (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় অপহরণকারী চক্রের রিপন (২৮) নামের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গুলশান থানা পুলিশ। একইসঙ্গে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে বনানীর হোটেল শেরাটনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের ডিসি তালেবুর রহমান।
গুলশান থানা সূত্রে জানা যায়, অপহরণের শিকার থেকে মুক্ত হওয়া আইয়ুব খান পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে কেনাকাটা করে প্রাইভেটকার যোগে গুলশানের নিজ বাসায় ফিরছিলেন। যাত্রাপথে গুলশান-২ এর ৯৮ নম্বর রোড এলাকায় পৌঁছলে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা মোটরসাইকেল যোগে তার গাড়ি থামান। তারা গাড়ি থেকে ড্রাইভারকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে দেয় এবং ভিকটিম মো. আইয়ুব খানকে প্রাইভেটকারসহ অপহরণ করে। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
এ ঘটনায় ওই দিন তার স্ত্রী সাহিদা আরোবি ওরফে সুমি গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। এক পর্যায়ে তার স্ত্রীর কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা নিতে আসলে রিপনকে বনানীর হোটেল শেরাটনের সামনে থেকে রাত দেড়টার গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রিপনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বনানীর ৯ নম্বর রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী ও প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করা হয়। এসময় অপর অপহরণকারীরা পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত রিপন জানিয়েছেন, তিনি মুক্তিপণ আদায়ের জন্য ব্যবসায়ী মো. আইয়ুব খানকে অপহরণ করেছিলেন। গুলশান থানার মামলায় গ্রেফতারকৃত রিপনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপহরণের সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
শহিদ