ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

বাংলাদেশ-মালদ্বীপের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলবে শিগগিরই

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৯:১৫, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ-মালদ্বীপের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলবে শিগগিরই

ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনিন রশিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ।

বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ চলাচলের বিষয়ে সম্মত হয়েছে উভয় দেশ। সরাসরি জাহাজ চলাচল চালু হলে উভয় দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলের বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

 

বুধবার (২৭ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ে ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনিন রশীদের সাক্ষাতের সময় তিনি এ কথা জানান।

এ সময় নৌ-উপদেষ্টা বলেন, ‘মালদ্বীপের সাথে বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। দক্ষিণ এশিয়ায় উভয় দেশই ভূরাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মেরিটাইম সেক্টরে সমৃদ্ধ। মালদ্বীপ বাংলাদেশ থেকে টেক্সটাইল, ফলমূল, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী আমদানি করে থাকে। একইভাবে মালদ্বীপেও বাংলাদেশের এক লাখের ওপর অভিবাসী সুনামের সাথে কাজ করছে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা মালদ্বীপের নির্মাণ, পর্যটন, বিপণন, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য খাতসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই কাজ করছে। এর মাধ্যমে বন্ধু প্রতীম দুই দেশেরই অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। মালদ্বীপ বাংলাদেশ থেকে পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানি করতে পারে।’

মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনিন রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপের মধ্যে শিগগির সরাসরি জাহাজ চলাচলের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। মালদ্বীপের ব্যবসায়ীরাও এ বিষয়ে অত্যন্ত ইতিবাচক। উভয় দেশের মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ আরও বাড়াতে সরাসরি জাহাজ চলাচল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’ কন্টেইনার, সাধারণ যাত্রী বা মালামাল পরিবহনের পাশাপাশি সমুদ্রপথে উভয় দেশের মধ্যে ক্রুজ সার্ভিস চালু করা যেতে পারে। এর মধ্য দিয়ে উভয় দেশের পর্যটন বিকশিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য মালদ্বীপ থেকে ক্যাডেট প্রেরণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোতে মেরিন বিষয়ক আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। মালদ্বীপের নিয়মিত ক্যাডেটরা এখান থেকে উন্নতমানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারে। হাইকমিশনার উপদেষ্টার এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, মালদ্বীপ সরকার বাংলাদেশের সাথে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিনিময় কর্মসূচিতে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী।’ এছাড়াও মালদ্বীপের ব্যবসায়ীরা পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ট্রান্সশিপমেন্ট নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। দুই দেশের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ২০২৫ সালের অনুষ্ঠিতব্য আইএমও নির্বাচনে সি-ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মর্মে মালদ্বীপের হাইকমিশনারকে অবহিত করেন। বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরকে আরও এগিয়ে নিতে এবং মেরিটাইম সেক্টরের বৈশ্বিক পর্যায়ে অবদান রাখতে বাংলাদেশ আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। নৌপরিবহন উপদেষ্টা আসন্ন আএমও নির্বাচনে মালদ্বীপের সমর্থন প্রত্যাশা করেন।

সাক্ষাৎকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মন উপস্থিত ছিলেন।

তাবিব

×