২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের লালদীঘির মাঠে মহাসমাবেশ করে। ওই সমাবেশে চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলা থেকে হাজারো মানুষ যোগ দেন। ওইদিন নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্ট স্তম্ভ ও আশপাশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা স্থাপন করা হয়। এ নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ওই ঘটনায় ৩১ অক্টোবর বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত) বাদী হয়ে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পরই দুজনকে রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাস নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবশেষ গ্রেপ্তার হলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী।
এবার জানা গেল রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপের কারণে গত জুলাই মাসে বহিষ্কার করেছিল আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)।
চট্টগ্রামের হাজারি গলির ঘটনা প্রসঙ্গে গত ৯ নভেম্বর রাজধানীর স্বামীবাগ ইসকন আশ্রমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী একথা জানিয়েছিলেন।
সেদিন চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেছিলেন, গত জুলাইয়ে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইসকনের যাবতীয় কার্যক্রম থেকে চট্টগ্রামের পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌরদাস ও সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাসকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ বহিষ্কৃতদের মাধ্যমে সংঘটিত কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে ইসকন জড়িত নয় বলেও দাবি করেছিলেন চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। সেদিন তিনি এ-ও বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা বা সহিংসতার মতো বেআইনি কাজের সঙ্গে ইসকনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
সাম্প্রতিক সময়ে সনাতনীদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে বক্তব্যের জন্য ব্যাপক আলোচিত চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী সদ্য গড়ে ওঠা বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বাংলাদেশে ইসকনের সংগঠকদের মধ্যে অন্যতম চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে ভক্তরা ‘চিন্ময় প্রভু’ নামে ডাকেন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
জুলাইয়ে ইসকনে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকায় যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বহিষ্কার হয়েছিলেন,সে বহিষ্কৃত কৃষ্ণ দাসকে নিয়ে কেন এত মাতামাতি তা জানতে চেয়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ।সোস্যাল মিডিয়া থেকে সর্বত্র আলোচনা করছেন তারা কার ইন্ধনে এসব হচ্ছ?
ফুয়াদ