আইনজীবী আলিফ ও চিন্ময় কৃষ্ণ
আইনজীবী আলিফ নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে সমাবেশ ডেকেছে আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট বারের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর এবং কারাগারে পাঠানোকে কেন্দ্র করে ইসকন সমর্থকদের হামলায় আইনজীবী আলিফ নিহত হন।
বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম দুপুর ১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছেন।
এ ছাড়াও সারাদেশের সব আইনজীবী সমিতির (বারে) বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান এর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটি: একই সময়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সামনে জাতীয় নাগরিক কমিটি, লিগ্যাল উইং প্রতিবাদ সমাবেশ করবে। এ তথ্য জানিয়েছেন নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ।
নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফ (৩৫) সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)। তিনি লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক।
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিক্ষোভকারীরা আইনজীবী সাইফুলকে চেম্বারের নিচ থেকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
তাকে হাসপাতালে নেওয়া দিদার বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীরা সাইফুল ইসলাম আলিফকে হাতে, মাথা ও পায়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চট্টগ্রামের আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহত ৬-৭ জনক হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল।
আর কে