৬টি জাহাজ ক্রয় প্রকল্পের জন্য গৃহীত ঋণ পরিশোধের চুক্তি অনুযায়ী প্রথম কিস্তির ৪৭৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকার চেক প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার হাতে চেক তুলে দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, বিএসসির জন্য জি-টু-জি ভিত্তিতে ৬টি জাহাজ কিনতে বাংলাদেশ সরকার (অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ) ও চায়না এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর একটি ঋণচুক্তি সই হয়। এ ঋণের আসলের পরিমাণ ১,১৯৯,৯৯৯,০৭০ ইউয়ান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ৪৫৭ কোটি ৬৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৪ টাকা। এ ঋণ পরিশোধের জন্য গত ২৭ অক্টোবর অর্থ বিভাগ ও বিএসসির মধ্যে অপর একটি সাবসিডিয়ারি লোন এগ্রিমেন্ট (এসএলএ) সই হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মোট ২ হাজার ৪২৫ কোটি ২ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারকে (অর্থ বিভাগ) বিএসসি থেকে আগামী ১৩ বছরের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।
সই হওয়া এসএলএ চুক্তি অনুযায়ী গ্রেস পিরিয়ডকালীন মোট সুদের পরিমাণ ৪৭৫ কোটি ২৫ লাখ ১৩ হাজার ৩৪০ টাকার চেক আজ প্রধান উপদেষ্টার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রকল্পটির মাধ্যমে সর্বশেষ জাহাজ সংগ্রহের সুদীর্ঘ ২৭ বছর পর গত ২০১৮-২০১৯ সালে বিএসসি’র বহরে ওই ৬টি বাণিজ্যিক জাহাজ যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। পাঁচটি জাহাজ (এম ভি বাংলার জয়যাত্রা, এম ভি বাংলার অর্জন, এম টি বাংলার অগ্রযাত্রা, এম টি বাংলার অগ্রদূত এবং এম টি বাংলার অগ্রগতি) বর্তমানে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক পরিমণ্ডলে পণ্যপরিবহন সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে।
এসময় অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ এবং বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেকসহ অন্যান্য কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
তাবিব