চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) সদস্যদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহতের ঘটনায় ইতোমধ্যে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে সর্বত্র ইসকন হামলায় আইনজীবী নিহতের ঘটনায় উঠছে তীব্র প্রতিবাদের ঝড়।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আইনজীবী নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিবেদিকা ঘোষ।
চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের ফেসবুক ঘুরে দেখা যায়, তিনি ইসকন নিষিদ্ধসহ সংগঠনটির নানা বিষয় নিয়ে সরব ছিলেন।নিজের ফেসবুকের ইন্ট্রোতে আলিফ লিছেখেন, ‘আমি আমার মতোই আর এভাবেই থাকতে চাই, কারণ আমি মুখোশ পরি না, আর মুখোশধারীদের পছন্দও করি না।‘
গত ৭ নভেম্বর ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়ে মো. ওবায়দুল আকবরের একটি পোস্ট শেয়ার করেন আইনজীবী আলিফ। সেখানে লেখা ছিল, ‘ইস্কন আর সনাতন এক নয়। সনাতন একটা ধর্ম! ইস্কন হলো সংগঠন। দেশকে উগ্রবাদী অস্থিতিশীল করার চেষ্টাকারী উক্ত সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা অতীব জরুরি। দেশপ্রেমিক সনাতনী ভাইয়েরাও আওয়াজ তুলুন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
তাছাড়া ২২ আগস্ট ২০২৪ বন্যাকালীন সময়ের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন,ধর্মের নামে এই দেশের একতা ভাঙ্গতে পারবেন না।
গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর টেরিবাজার এলাকায় হাজারী গলিতে ইসকন সদস্যের হামলার ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে সোচ্চার ছিলেন আইনজীবী আলিফ। ওই ঘটনায় পুলিশের ব্রিফিংয়ের ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে আলিফ লেখেন, ‘এখানে যারাই জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হউক।’
‘ভালো উদ্যোগ’ লিখে আজ দুপুর ১২টা ৪৩ মিনিটে ফেসবুকে সবশেষ একটি পোস্ট শেয়ার করেন এই আইনজীবী। ওই পোস্টে লেখা ছিল, ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল ছাত্র সংগঠন একসাথে হয়ে আগামী এক সপ্তাহ “জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ” পালন করবে। ৫ই আগস্টের পর এই প্রথম সব ছাত্র সংগঠন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে একই কর্মসূচি পালন করবে।
ফুয়াদ